Minakshi Mukherjee Sandeshkhali: স্রেফ একটা সাদা ওড়না, দুঁদে কর্তাদের ঘোল খাইয়ে দিল মীনাক্ষীর স্ট্র্যাটেজি, সন্দেশখালি জুড়ে উড়ল লাল ঝান্ডা
Sandeshkhali: পুলিশকে কার্যত ফাঁকি দিয়েই নৌকায় চেপে চলে যান ওপারে। পুলিশ নাকি তাঁকে চিনতেই পারেনি। অন্তত তেমনটাই দাবি করলেন সিপিএম কর্মীরা। এদিকে, মীনাক্ষী সন্দেশখালিতে পা দেওয়ার আগেই সেখানে উড়ল সিপিএমের পতাকা।
সন্দেশখালি: স্রেফ একটা সাদা ওড়না। তা দিয়ে মুখ ঢাকা। এই একটাই স্ট্র্যাটেজি! সন্দেশখালিতে ঢোকার মুখে দুঁদে পুলিশ কর্তাদের কড়া নজরদারিকেও ঘোল খাইয়ে দিলেন DYFIএর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ফেরিঘাটে যাওয়ার আগেই সাদা ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকেছিলেন মীনাক্ষী। আর তাঁর সঙ্গে সিপিএমের নেতারা। সিপিএম কর্মীরাই বলছেন, নজরদারিতে মোতায়েন পুলিশ কর্তারা মীনাক্ষী ছাড়া কাউকে চিনতেনই না। আর সেটাকেই কাজে লাগান মীনাক্ষী। তাঁদের ভিড়ের মাঝেই মুখে একটা সাদা ওড়না চাপিয়ে নৌকয় উঠে পড়েন। একেবারে পুলিশের সামনে দিয়েই। পুলিশ চিনতেই পারল না। সন্দেশখালিতে পা রাখেন DYFIএর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
মীনাক্ষী সন্দেশখালিতে পা দিচ্ছেন, এখবর আগেই ছিল সন্দেশখালির সিপিএম কর্মী সমর্থকদের। তাই শনিবার থেকেই সেখানে উড়ল সিপিএমের পতাকা। ২০১১ সালের পর এই প্রথম। সন্দেশখালির মাটিতে ফের উড়ল সিপিএমের পতাকা। জেলিয়াখালি, দুর্গামণ্ডপ, খুলনা-সহ একাধিক এলাকায় পতাকা উড়িয়ে মাঠে থাকার কথা জানান দিলেন বাম কর্মী সমর্থকরা।
সিপিএম কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্যে পরিবর্তনের পর সন্দেশখালিতে মিটিং-মিছিল তো দূর। পতাকা তুললেই বাম কর্মীদের আক্রমণ করত শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। সন্দেশখালির আন্দোলনের হাত ধরে সেই ছবিরই বদল দেখা দিল শনিবার।
টোটোয় চেপে গ্রামে ঘুরছেন মীনাক্ষী। আগেরবার চেষ্টা করেছিলেন গ্রামে ঢোকার। কিন্তু ন্যাজাটের কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। ফিরে আসতে বাধ্য হন মীনাক্ষী। এদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ যাতে কোনওভাবে আটকাতে না পারে, তার জন্য রীতিমতো ঘুরপথে সন্দেশখালিতে এসে পৌঁছন। মীনাক্ষীর স্ট্র্যাটেজিতে রীতিমতো কুপোকাত পুলিশ! ইতিমধ্যেই পাত্রপাড়া, পুকুরপাড়ায় ঘুরেছেন মীনাক্ষী।