TMC Leader: কামারহাটিতে ৩ যুবককে বেধড়ক মারের অভিযোগ যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, রক্তাক্ত অবস্থাতেই ফেসবুক লাইভ
TMC Leader: স্থানীয় এক অটোচালক ও তাঁর দুই বন্ধুকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে কামারহাটি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রানা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি, রক্তাক্ত অবস্থাতেই তাঁদের বসিয়ে রেখে ফেসবুক লাইভ করে সালিশি সভা করারও অভিযোগ উঠেছে।
বেলঘরিয়া: আটোচালক ও দুই বন্ধুকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাত্র পরিষদের নেতার বিরুদ্ধে। তিনজনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, শুধু মারধর নয়, ওই অটোচালক ও তাঁর বন্ধুদের ফেসবুক লাইভ করে সালিশি সভা বসানোরও অভিযোগ সামনে এসেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তেজনা বেলঘরিয়ায়। আহত যুবকদের পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন থেকেই তাঁদের ছেলেদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে আসছিল অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা। তা না পাওয়াতেই রাগে এই কাণ্ড ঘটেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে কামারহাটি পৌরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
আহত তিন যুবকের মধ্যে দুজনের অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে আহত যুবকদের পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রানা বিশ্বাসের নামে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানাতে পারা যাচ্ছে। ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা রানা বিশ্বাস।
একইসঙ্গে গোটা ঘটনায় মুখ খুলতে নারাজ এলাকার তৃণমূল নেতারা। ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই তো এসব হচ্ছে। কামারহাটি কেন এর থেকে বাদ যাবে? আমরা চাই প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।” যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন আহত অটোচালকের মা। তিনি বলেন, “রানা তৃণমূল করে, তোলাবাজি করে। কিছুদিন আগে কাকে একটা গুলিও করতে গিয়েছিল। ওর এটাই ব্যবসা। আমার ছেলের থেকে টাকা চাইছিল। তা না দেওয়ায় আমার ছেলের বিরুদ্ধে আবার তোলাবাজির অভিযোগ করেছে। চারদিকে বদনাম দিচ্ছিল। আমরা রানার কড়া শাস্তির দাবি করছি।”