Coal Smuggling: খাদ্যসামগ্রীর কন্টেনারে বস্তা বোঝাই এগুলো কী? চোখ কপালে পুলিশের
Jamuria: শুক্রবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের রানিসায়র মোড়ে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল জামুড়িয়া থানার পুলিশ। সন্দেহের বশে তখনই আটক করা হয় একটি ফুড প্রোডাক্ট কন্টেনার।
আসানসোল: বাইক নিয়ে কন্টেনারের পিছনে গেলেই ব্যাপারখানা বেশ ঠাউর হত। দুধের গাড়ির থেকে উড়ে আসত কয়লার গুঁড়ো! হ্যাঁ…দুধের গাড়ি আর কয়লা। যেন তেলে আর জলের মত সম্পর্ক। তাই সন্দেহটা দৃঢ় হচ্ছিল সাধারণ মানুষের মনে। তবে শুধু দুধ নয়, সাধারণ খাবার, প্যাকেটজাত ফুড প্রোডাক্ট সহ বিভিন্ন সামগ্রীর কন্টেনারেই ঘটত একই ঘটনা। শেষমেশ ফুড প্রোডাক্টের একটি কন্টেইনারকে আটক করে বেরিয়ে এলো আসল সত্য। আসলে এভাবেই পাচার হচ্ছিল কয়লা।
শুক্রবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের রানিসায়র মোড়ে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল জামুড়িয়া থানার পুলিশ। সন্দেহের বশে তখনই আটক করা হয় একটি ফুড প্রোডাক্ট কন্টেনার। গাড়িটির উপরে বড়-বড় হরফে লেখা ছিল সংস্থার নামও। কিন্তু ডালা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। খাদ্য সামগ্রী নয়, ভিতরে স্তুপকার করে পাচার করা হচ্ছিল ব্ল্যাক ডায়মন্ড বা কয়লা। সঙ্গে-সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে আটক করা হয় গাড়িটিকে। হেফাজতে নেওয়া হয় গাড়িতে থাকা দু’জনকে। চালক সুজয় দাস কলকাতার বাসিন্দা আর তার সহকারি তারক মণ্ডল জামুরিয়ার বোগরার বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জামুরিয়ার বীজপুর থেকে হুগলির ডানকুনিতে পাচার করা হচ্ছিল কয়লা। ছোট-ছোট বস্তায় ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মোট ৪ টন কয়লা।
তবে এটি প্রথমবার নয়। চলতি মাসের ১২ তারিখ একইভাবে কয়লা বোঝাই একটি দুধের কন্টেনার ধরা পড়েছিল জামুড়িয়া থানার জালে। বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর কন্টেনারে কয়লা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। তাদের বক্তব্য, বাইক নিয়ে দুধের গাড়ির পিছনে গেলে চোখে শীতে লাগত কয়লার গুঁড়ো। শীলমোহর পড়ে পুলিশের জালে অভিনব কায়দায় কয়লা পাচার ধরা পড়ার পর। পুলিশের কাছেও বেশ কিছুদিন যাবত গোপন সূত্রে এই খবর আসছিল। পাচারকারীরা যে দুধ ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর গাড়ি ব্যবহার করছে তা নিশ্চিত হতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। একইভাবে সক্রিয় হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের অন্যান্য থানাগুলিও। তবে দুধের গাড়িতে শুধুমাত্র কয়লা পাচার নয়, গরু পাচারের ঘটনাও সামনে এসেছে।