Protest: ‘আমরাও শিক্ষক, বেতনটা একটু সম্মানের হোক’, কালীঘাট-নবান্নে চিঠি কম্পিউটারের স্যরদের

Asansol: এই শিক্ষকদের বক্তব্য, ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমানের প্রতিটি স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষা ও আইটির সমস্ত কাজ করছেন তাঁরা। দুয়ারে সরকারের প্রসার, প্রচারেও তাঁদের ভূমিকা আছে বলে দাবি করেন তাঁরা। অথচ তাঁদের বেতন ১০ হাজার টাকা। নভেম্বর থেকে তাঁরা চিঠিচাপাটি করছেন। এরপরই বৃহস্পতিবার অভিনব খাম ভরো অভিযানে নামেন।

Protest: 'আমরাও শিক্ষক, বেতনটা একটু সম্মানের হোক', কালীঘাট-নবান্নে চিঠি কম্পিউটারের স্যরদের
খাম ভরো অভিযানে কম্পিউটার শিক্ষকরা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2023 | 4:15 PM

আসানসোল: সরকারি স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষকরা এবার বেতন বাড়ানোর দাবিতে চিঠি পাঠাল নবান্ন ও কালীঘাটে। তাঁদের এই কর্মসূচির নাম ‘খাম ভরো অভিযান’। জেলায় জেলায় সরকারি স্কুলগুলির কম্পিউটার শিক্ষকরা এই অভিযানে বৃহস্পতিবার সামিল হন। তাঁদের বক্তব্য, সরকারি ক্ষেত্রে অন্যান্য অস্থায়ী কর্মীরা যে বেতন পান, তাঁদেরও যেন সেই হারেই বেতন দেওয়া হয়। এদিন আসানসোলে এই অভিযানে সামিল হন পশ্চিমবঙ্গ আইসিটি স্কুল কো-অর্ডিনেটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন সরকারি স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক ও শিক্ষিকা রয়েছেন। কিন্ত তাদের বেতন ১০ হাজার টাকা। তাঁদের দাবি, এমন বেতন দেওয়া হোক, যা সম্মানজনক হয়। এদিন আসানসোলে মুখ্য ডাকঘর থেকে দাবিপত্রগুলি পাঠানো হয় কালীঘাট ও নবান্নে।

এই শিক্ষকদের বক্তব্য, ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমানের প্রতিটি স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষা ও আইটির সমস্ত কাজ করছেন তাঁরা। দুয়ারে সরকারের প্রসার, প্রচারেও তাঁদের ভূমিকা আছে বলে দাবি করেন তাঁরা। অথচ তাঁদের বেতন ১০ হাজার টাকা। নভেম্বর থেকে তাঁরা চিঠিচাপাটি করছেন।

এরপরই বৃহস্পতিবার অভিনব খাম ভরো অভিযানে নামেন। তবে তাঁরা বলছেন, আন্দোলন তাঁদের কাছে, পথে নেমে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা নয়। বরং সরকারের পাশে থেকে সরকারকে সহযোগিতা করে একটা ভাল দিক সম্পর্কে অবহিত করা। কারণ, তাঁরা শিক্ষক। সেই বোধকে মাথায় রেখেই এই কর্মসূচি।

এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রূপনারায়ণপুরের একটি স্কুলের কম্পিউটার প্রশিক্ষক সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের অস্থায়ী কর্মী। আইসিটি কম্পিউটার শিক্ষক। ৬ বছর ধরে আমাদের বেতন বাড়েনি। একটাই অনুরোধ ছিল সরকারি চুক্তিভিত্তিকরা যেমন বেতন পান, আমাদের সেই বেতন দেওয়া হোক। এখনও পর্যন্ত তার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে আমরা খাম ভরো অভিযান করলাম। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টা দেখুন আমরা চাই। তাতে আমাদের বেতনটা একটু সম্মানের হয়। সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কালীঘাটের ঠিকানায় চিঠি পাঠালাম। একই সঙ্গে নবান্নেও পাঠিয়েছি।”