Asansol: কেন ভাঙা হচ্ছে না বিজেপির পার্টি অফিস? উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে জোর বিতর্ক চিত্তরঞ্জনে
Asansol: প্রসঙ্গত, রেলের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়াতেই তা নিয়ে শোরগোল চলছিল এলাকায়। যদিও তৃণমূল নেতাদের আবার দাবি, যাঁদের তুলে দেওয়া হচ্ছে তাঁরা তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তৈরি হয়েছে পূর্নবাসন সমিতি।
আসানসোল: দখলদার মুক্ত করা হবে চিত্তরঞ্জন স্টেশন চত্বর। সে কারণেই জোরকদমে উচ্ছেদ অভিযানও চলানো হচ্ছে রেলের তরফে। তাতেই এবার লাগলো রাজনীতির রঙ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার চিত্তরঞ্জন শহরের সিমজুড়ি কাপুরি বস্তিতে প্রায় ৪১টি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ, সেই জায়গায় বিজেপির কার্যালয় না ভেঙে অক্ষত রেখে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়েই এলাকার রাজনৈতিক মহলে চলছে শোরগোল।
প্রসঙ্গত, রেলের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়াতেই তা নিয়ে শোরগোল চলছিল এলাকায়। যদিও তৃণমূল নেতাদের আবার দাবি, যাঁদের তুলে দেওয়া হচ্ছে তাঁরা তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তৈরি হয়েছে পূর্নবাসন সমিতি। ইতিমধ্যেই ঘরহীন ৩১টি পরিবারকে হিন্দুস্তান কেবেলসের ভগ্ন আবাসনে অস্থায়ী ভাবে থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে পূর্নবাসন সমিতি। কিন্তু, কেন উচ্ছেদ অভিযানের সময় বিজেপির কার্যালয় ভাঙা হল না সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। রেলের ভূমিকা নিয়েও উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। এক বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
বিজেপি নেতা শঙ্কর তেওয়ারি বলছেন, তাঁর দোকান-সহ মোট ১ হাজার স্কোয়ার ফুটের আগে থেকেই অনুমতি নেওয়া আছে। সে কারণেই তাঁর বাড়ি ও পাশের দোকান ভাঙা হয়নি। অন্যদিকে তিনি এও বলছেন, চিত্তরঞ্জন শহরের মধ্যে থাকা বাকি দলের কার্যলয় ও অবৈধ ক্লাবগুলি ভাঙলে তবেই তিনি বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙতে দেবেন। তবে পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূল ব্লক সহ সভাপতি ভোলা সিং চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে বলেন, রেল তো কেন্দ্রীয় সরকারের। ওরা তাই গরিব মানুষদের শোষণ করার নীতি নিয়ে চলেছেন। তাঁর দাবি, রেল আগে নোটিস দিলেও এত শীতের মধ্যে ওদের মাথার উপর থেকে ছাদ কেড়ে নেওয়া উচিত হয়নি। উচ্ছেদের পর ওই মানুষগুলি কোথায় যাবেন সে বিষয়ে ভাবা দরকার ছিল।