Bengal Flood: জল ছাড়া বন্ধ থাকলেও পরিপূর্ণ মাইথন, ‘ডিভিসির জন্য বন্যা’, তোপ বেচারামের
Bengal Flood: ডিভিসি সূত্রে খবর, ১৫ হাজার কিউসেক করে মোট ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে দুটি ড্য়ামে। দুটি ড্য়ামেরই একটি করে লকগেট খোলা হয়েছে।
আসানসোল: মঞ্জুর আবেদন। রাজ্য সেচ দফতরের তরফে ডিভিসিকে জল ছাড়া বন্ধ করতে আবেদন করতে চিঠি দেওয়ার পরেই শুক্রবার থেকে জল ছাড়া বন্ধ হল মাইথন (Maithon) ও পাঞ্চেত্ (Panchet) ড্য়ামে। হাইড্রলিক অপারেশনের জন্য যেটুকু জল ছাড়তে হয় সেটুকুই ছাড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ডিভিসির জন্যই বঙ্গে প্লাবন পরিস্থিতি বলে তোপ তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার।
ডিভিসি সূত্রে খবর, ১৫ হাজার কিউসেক করে মোট ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে দুটি ড্য়ামে। দুটি ড্য়ামেরই একটি করে লকগেট খোলা হয়েছে। এই মুহূর্তে ৪৯০ ফুট জল রয়েছে মাইথনে। পাঞ্চেতে জলের পরিমাণ ৪২৩ ফুট। নতুন করে বৃষ্টিপাত যেমন হয়নি, তেমন জলস্তরও বাড়েনি। যদিও কানায় কানায় ভর্তি মাইথন।
মাইথন পাঞ্চেত-সহ ঝাড়খন্ডের মালভূম অঞ্চলে শুস্ক আবহওয়া ও ঝলমলে রোদ থাকায় আপাতত সস্তি দামোদর উপত্যকা এলাকায়। তবে, জল পৌঁছেছে মাইথন ড্যাম সংলগ্ন বাথানবাড়ি সিধাবাড়ি বৃন্দাবনী গ্রামের কাছাকাছি। আশঙ্কা, ফের বৃষ্টি হলে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে ডিভিসিকে। তখন ফের বানভাসী হতে পারে দামোদর নদের নিম্ন উপত্যকা।
শুক্রবার, আরামবাগ-খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সরাসরি ডিভিসিকে নিশানা করলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। আসানসোলের শ্রম দফতরের রিভিউ বৈঠকে এসে এদিন তিনি বলেন, “ত্রাণ নিয়ে যারা অভিযোগ করছে, তাদেরই সরকার দিল্লিতে ক্ষমতায় রয়েছে। তাদেরই নির্দেশে ডিভিসি জল ছেড়েছে। বাংলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী ডিভিসি। রাজ্যের তরফে ইতিমধ্য়েই জানানো হয়েছে, আরও একবার আবেদন করি ডিভিসি ধাপে ধাপে জল ছাড়ুক ও রাজ্যকে জানিয়ে ছাড়ুক। নিশ্চিতভাবে ডিভিসি থেকে জল ছাড়া বন্ধ হলেই আমরা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাব।”
ডিভিসি ইস্যুতে সরকারিভাবে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারপাতা সেই চিঠির প্রথম লাইনেই মুখ্য়মন্ত্রী লিখেছেন এই বন্যা ম্যান মেড। পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক সীমারেখা স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ডিভিসির জল ছাড়ার জন্যই ডুবতে বসেছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলা। মৃত্য়ু হয়েছে ১৬ জনের। নষ্ট হয়েছে বহু চাষের জমি। ২০১৫ সালে একাধিকবার ডিভিসি-র সংস্কারের দাবি জানানো হলেও তা এখনও অধরা থেকেছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করার আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা।
পাল্টা ডিভিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে একটুও জল ছাড়ছে না তারা। জল ছাড়ার পুরো বিষয়টিই রাজ্যের গোচরে রয়েছে। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সাফ দাবি, কেন্দ্র-রাজ্য নজরদারিতেই জল ছাড়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু পলি পড়ে যেভাবে নদীগুলির নব্যতা কমেছে, তাতে কোনও ভাবেই জলাধারগুলি জল ধরে রাখতে পারছে না। তাই অতিরিক্ত জল ছাড়তেই হচ্ছে। এরপর, শুক্রবার জল ছাড়া বন্ধ হল মাইথন পাঞ্চেত ড্যামে। আরও পড়ুন: টিভি নাইন বাংলার খবরের জের! অশোকনগর টিকা-কাণ্ডে বৈঠক জেলা প্রশাসনের