Kazi Nazrul University: বরখাস্ত হওয়া রেজিস্ট্রাকেই কোর্ট মিটিং ডাকার নির্দেশ আচার্য বোসের, পারদ চড়ছে Kazi Nazrul University-তে
Kazi Nazrul University: গরমের মধ্যেই সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অধ্যাপক অধ্যাপিকা শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই টানা ৩৭ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। দাবি একটাই, বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য তথা ভিসি সাধন চক্রবর্তী দুর্নিতীগ্রস্ত। তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।
আসানসোল: গরমে পুড়ছে গোটা বাংলা। কোথাও-কোথাও ৪০ ছাড়িয়ে ৪২ ডিগ্রি হয়ে গিয়েছে তাপমাত্রা। তীব্র গরমে বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠন পাঠন। তবে এই দহন জ্বালার মধ্যেই অব্যাহত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজিয়া (Kazi Nazrul University)। গরমের মধ্যেই সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অধ্যাপক অধ্যাপিকা শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই টানা ৩৭ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। দাবি একটাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা ভিসি সাধন চক্রবর্তী দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।
ইতিমধ্যেই এই আন্দোলন ‘বেআইনি’ উল্লেখ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন উপাচার্য। পাল্টা সোমবারই রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছেন আন্দোলনকারীরা। তিনি ১৫ মিনিট সময় দিলেও ১ ঘণ্টা ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার কথা শোনেন। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন কোর্ট মিটিং ডাকার। যেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন আচার্য নিজেই। আর এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের নৈতিক জয় বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী এই রেজিস্ট্রারকেই অনৈতিকভাবে বরখাস্ত করেছিলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে নিষেধ করেছিলেন তিনি। এই ঘটনাকে সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা প্রতিবাদে নেমেছিলেন। তখন থেকেই লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়। সেই বরখাস্ত হওয়া রেজিস্ট্রারকেই যখন আচার্য কোর্ট মিটিং ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন তখন ধরে নিতে হবে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত বেআইনি ছিল বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ।
এ দিকে, এই ঘটনা সামনে আসার পর মিষ্টিমুখ করেন আন্দোলনকারীর। তাঁরা স্পষ্ট জানান উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তাঁরা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইনে প্রতিবছর কোর্ট মিটিং ডাকার নিয়ম। আয় ব্যায়ের সমস্ত হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ে আচার্যের উপস্থিতিতে এই মিটিং ডাকা হয়। কিন্তু কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর থেকে একবারও কোর্ট মিটিং হয়নি।
এর আগে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে উাপচার্য বলেছিলেন যে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পড়াশোনার খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ওখানে ত্রাসের সঞ্চার হয়েছেন। যাঁরাই কাজ করতে চান তাঁদের কাজ করতে দেন না। সবাইকে ধরনা মঞ্চে গিয়ে বসে থাকতে হবে। ভিসি দায়ি বলে দেওয়া সহজ। কিন্তু কেন ভিসি দায়ী? দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু কোনও প্রমাণই নেই।
উল্লেখ্য ১৩ মার্চ থেকে চলছে আন্দোলন। তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে অচলাবস্থা। ইতিমধ্যে দুবার উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ফিরে গিয়ে তিনি আন্দোলনকে বেআইনি দাবি করে হাইকোর্টে মামলা করেন। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরাও শরণাপন্ন হন রাজ্যপালের। তবে এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটবে বলে আশাবাদী শিক্ষামহল।