Cow Smuggling: পিকআপ ভ্যানের উপর থেকে সাদা রঙের কিছু চোখে পড়ছিল, ডালা খুলতেই চোখ কপালে উঠল পুলিশের

Asansol: সূত্রের খবর, বিহারের চসা এলাকার হাটের গরু ঝাড়খন্ড হয়ে ঢুকছিল বাংলায়। ধানবাদ হয়ে বীরভূমের পথে যাচ্ছিল সেই গরুগুলি।

Cow Smuggling: পিকআপ ভ্যানের উপর থেকে সাদা রঙের কিছু চোখে পড়ছিল, ডালা খুলতেই চোখ কপালে উঠল পুলিশের
পিকআপ ভ্যান (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2022 | 7:26 AM

আসানসোল: পিক আপ ভ্যান। দ্রুত গতিতে চলছিল সেটি। চেকপোস্টের কাছে যেতেই গাড়ি থামায় পুলিশ। তারপরই বেরিয়ে এল আসল ঘটনা। পিকআপ ভ্যানে করেই চলছিল গরু পাচারের চেষ্টা। তবে পুলিশি হস্তক্ষেপে তা ধরে ফেলল পুলিশ।

সূত্রের খবর, বিহারের চসা এলাকার হাটের গরু ঝাড়খন্ড হয়ে ঢুকছিল বাংলায়। ধানবাদ হয়ে বীরভূমের পথে যাচ্ছিল সেই গরুগুলি। পিকআপ ভ্যান বোঝাই গরু যে রাজ্যে ঢুকেছে তা আগে থেকেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসানসোল ঢোকার আগে ডুবডি চেকপোস্টে ধরে ফেলল নিরসা থানার পুলিশ।

ঝাড়খণ্ডের নিরসা থানার পুলিশের হেফাজতে এখন ১২ টি গরু রয়েছে। জানা গিয়েছে, দু’মাসের মধ্যে চার বার এই নিয়ে গরু পাচারের চক্র ধরা পড়ল ঝাড়খন্ড পুলিশের হাতে। এমনকী দুধের কন্টেনারে করেও গরু পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। পার্সেল ভ্যানেও গরু পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সবই ধরে ফেলে আসানসোল সীমানার ঝাড়খন্ড থানার পুলিশ। এবার ফের গরু ধরা পরল। খবর বিহার থেকে সেই গরু যাচ্ছিল বীরভূমে। শেষ পর্যন্ত পিকআপ ভ্যানের চালক দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া গরু পাঠানো হয় ধানবাদের কাছে গোশালায়। জানা গেছে এগুলি পশ্চিমবাংলায় বীরভূম নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল।

এই বিষয়ে নিরসা থানার ওসি বলেন, ‘নিসা এলাকায় কয়লা বালির পাশাপাশি, গরু চোরাচালান চলছে ব্যাপকভাবে। যার কারণে প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। সর্বশেষ ঘটনাটি গতকাল গভীর রাতে নিরসা থানার অন্তর্গত ভলজোরিয়া রোডে। গ্রামবাসীরা প্রায় ডজন খানেক গরু বোঝাই করে। ভ্যানটি ধরা পড়ে, যদিও চালক ও গরু পাচারকারী অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রামবাসীরা তাৎক্ষণিকভাবে নিসার ইন্সপেক্টর কাম স্টেশন ইনচার্জ দিলীপ যাদবকে খবর দেয়। তৎপরতা দেখিয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিকআপ ভ্যান দু’টিকে সঙ্গে নিয়ে থানায় নিয়ে যাই। আমি এসে সব গরু তুলে নিয়ে থানা চত্বরে অবস্থিত হলটিতে বেঁধে খাবারের ব্যবস্থা করি।’

ইন্সপেক্টর কাম স্টেশন হাউস অফিসার দিলীপ যাদব বলেন, ‘তদন্ত করা হচ্ছে এবং তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’