Bagtui Massacre: ভিখারি পাসোয়ান থেকে রিজওয়ানুর, কী করেছে সিবিআই? বগটুইতদন্ত নিয়েও সংশয় কল্যাণের মনে
Asansol By-Poll: ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আপাতত সেখানেই তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিয়ে ভোট প্রচারে ব্যস্ত সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসানসোল: বগটুইকাণ্ডের (Bagtui Massacre) তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ আসার পরই রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছিল তারা এর কোনওরকম বিরোধিতায় যাবে না। তবে তদন্তের ফলাফল নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয় রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। শিলিগুড়িতে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য তদন্তে সমস্তরকম সহযোগিতা করবে। তবে ভুললে চলবে না, এই সিবিআই এখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল ফিরিয়ে আনতে পারেনি। নন্দীগ্রামেরও বিচার দিতে পারেনি তারা। এবার দলনেত্রীর সুরেই সিবিআই নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ভিখারি পাসোয়ান থেকে গড়বেতা হয়ে রিজওয়ানুর, সিবিআই তদন্তে কোনও কোনও সুরাহাই হয়নি। তাই সিবিআইয়ের সাফল্য নিয়ে সংশয় রয়েছে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক-আইনজীবীর মনে।
১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আপাতত সেখানেই তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিয়ে ভোট প্রচারে ব্যস্ত সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কল্যাণ বলেন, “রামপুরহাটের ঘটনা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। রামপুরহাটের ঘটনাতে সিটও তৈরি হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সিট তৈরি করেছেন। নিজেই বলেছেন ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতার করতে। গ্রেফতার করাও হয়েছে। কিন্তু পরে হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে। রাজ্য সরকার সেটা মেনে নিয়েছে। আমারও কোনও আপত্তি নেই তাতে।” তবে কিছু কিন্তু রয়ে গিয়েছে সাংসদের মনে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “১৯৯৩ সালে ভিখারি পাসোয়ানের ঘটনা ঘটেছে। এখন ২০২২ সাল। ২৯ বছরে সিবিআই একটা লোককেও কি জেলে ঢোকাতে পেরেছে? গড়বেতা হত্যাকাণ্ড, সেই মামলা আমি করেছি। ২০০১ থেকে ২০২২ অর্থাৎ ২১ বছরেও তার কিছু হয়নি। রিজওয়ানুর রহমানের সেই মামলাও আমি করেছি। ২০০৭ সালের ঘটনা। আজ ১৫ বছর হয়ে গেল। একটা লোকও ধরতে পারল না। তা হলে সিবিআইকে দিয়ে সত্যি কি কোনও লাভ হয়েছে?” তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, “রামপুরহাটে সিবিআই আসবে। কিছু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকবে। আমি তো এই ডিআইজিকে চিনি। আমি দেখেছি নিজাম প্যালেসে কী করেছে। আজ তাদের হাতে দিয়ে কোনও লাভ নেই।”