Anubrata Mondal: জামিন পেলেন না অনুব্রত, আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে

Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।

Anubrata Mondal: জামিন পেলেন না অনুব্রত, আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে
অনুব্রত মণ্ডল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2022 | 1:49 PM

আসানসোল: ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অনুব্রতর আইনজীবী জামিনের আর্জি জানালেও তা ধোপে টেকেনি। সিবিআইয়ের আবেদনেই সায় দেন আদালত। ফলে ফের জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।

এদিন আদালতে সওয়াল জবাব পর্বের একেবার শুরুতেই অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জামিনের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন। তবে তা ধোপে টিকল না। এদিন আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চান, অনুব্রত মণ্ডলের এই গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করতে সিবিআইয়ের আর কতদিন লাগবে। সূত্রের খবর, সেখানে জানানো হয়েছে আরও দু’মাস সময় লাগবে।

সাধারণত যদি কোনও তদন্তকারী সংস্থা জানায় তাদের তদন্তে আরও কিছুটা সময় লাগবে, সেক্ষেত্রে দেখা যায় আদালতের কাছে তদন্তকারী সংস্থা বাড়তি কিছুটা সুযোগ পায়। কারণ একটাই, তদন্ত যাতে মাঝপথে ব্যহত না হয়, থেমে না যায় সে কারণেই এই বাড়তি সুবিধা। যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের। এদিন আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, সক্রিয় রাজনীতিতে থাকার কারণেই কি এভাবে তাঁকে জড়ানো হচ্ছে?

গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডলের সবসময়ের সঙ্গী সায়গল হোসেনকে আদালতের অনুমতিতে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সায়গলের উপর বাড়ছে চাপ। ইতিমধ্যেই ইডির তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, সায়গলের মা ও স্ত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের যেন অনুমতি দেওয়া হয়।  দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এই আর্জি জানানো হয়।

অন্যদিকে আবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি এবং তা দিল্লিতেই। সে কারণে নোটিসও পাঠানো হয়েছে। প্রথমবার নোটিস পাঠানো হলেও হাজির হননি তিনি। এরপরই আরও একটি নোটিস পাঠানো হয় বোলপুরের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যাকে। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে সুকন্যার সম্পত্তির হিসাবের উল্লেখ রয়েছে।

সূত্রের খবর, সেই চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। সুকন্যার নামে অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বলে সূত্রের খবর।