Awas Yojana: আবাসে বাড়ি পেতে পাকাবাড়ি থেকেও গোয়ালঘরে বাস ব্যক্তির! শোরগোল পড়তেই সমীক্ষক দলে থাকা স্ত্রীর যুক্তি…
Awas Yojana: দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহিচেতুয়া গ্রামের বাসিন্দা বামাপদ চাকী। তাঁর আবাস যোজনার প্রাপক তালিকায় নাম ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ, বামাপদবাবুর একতলা পাকাবাড়ি রয়েছে।
দাসপুর: একতলা পাকা বাড়ি। পাশেই একটি ভাঙাচোরা গোয়ালঘর। বাংলা আবাস যোজনার টাকা পেতে সেই গোয়ালঘরকেই নিজের থাকার জায়গায় বললেন বাড়ির কর্তা। আর সমীক্ষক দল তা মেনেও নিল। কারণ, সমীক্ষক দলে ছিলেন বাড়ির কর্তার স্ত্রীও। আবাসের তালিকায় ওই ব্য়ক্তির নাম উঠতেই হইচই শুরু হয়েছে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের।
অভিযোগ, যাঁকে আবাস-সমীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছিল, তিনি-ই কিনা নিজের পরিবারের নাম আবাস তালিকায় তোলালেন। এমনই ঘটনা ঘটল দাসপুর এক নম্বর ব্লকের ডিহিচেতুয়া গ্রামে। অভিযোগ পেয়েই তদন্তের নির্দেশ দিলেন দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস। তিনি বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহিচেতুয়া গ্রামের বাসিন্দা বামাপদ চাকী। তাঁর আবাস যোজনার প্রাপক তালিকায় নাম ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ, বামাপদবাবুর একতলা পাকাবাড়ি রয়েছে। রয়েছে টিভি, ফ্রিজ। তাঁর একমাত্র ছেলে সোনার কারিগর। ভিন রাজ্যে থাকেন।
এই খবরটিও পড়ুন
বামাপদবাবুর স্ত্রী রিঙ্কু চাকী একজন আশাকর্মী। দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আবাস তালিকার সমীক্ষার জন্য টিম তৈরি হয়েছিল। সেই টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। অভিযোগ, নিজের পাকা বাড়ির তথ্য গোপন করে গোয়ালঘরকে বসতবাড়ি দেখিয়ে স্বামীর নাম তালিকায় তুলে দেন রিঙ্কুদেবী। প্রশ্ন উঠেছে, নিজে একজন সমীক্ষক দলের সদস্য হয়েও পাকা বাড়ির কথা গোপন করে স্বামীর নাম আবাস তালিকায় অনুমোদন করালেন কিভাবে? এই নিয়ে রিঙ্কু দেবীর দাবি, পাকাবাড়িটি তাঁদের নয়। তাঁর ভাসুরের। তাঁরা মাটির বাড়িতে থাকতেন। সেই বাড়িটি প্রায় ভেঙে পড়েছে। তাই, ভাসুরকে বলে, তাঁদের বাড়ির একটি কামরায় থাকেন তাঁরা। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সমীক্ষক দলের সদস্য হিসেবে তিনি শুধু তাঁর স্বামী কোথায় থাকেন, সেই জায়গা দেখিয়েছিলেন, নাম তুলেছেন সমীক্ষক দলের আধিকারিকরা। বামাপদবাবুরও দাবি, ওই পাকাবাড়িতে থাকেন না তিনি।