Kharagpur: খড়্গপুরে ‘হাওয়া-বদল’? দিলীপের ‘শহিদ স্মরণের’ আগেই নয়া কর্মসূচির ঘোষণা হিরণের
Kharagpur: পথে-ঘাটে বিজেপির অন্য নেতাদের দেখা গেলেও, হিরণের গন্ডিটা যেন খড়্গপুরেই সীমাবদ্ধ। আর সেই বিজেপি নেতাই এবার ঘোষণা করল একটি নতুন কর্মসূচির।

পশ্চিম মেদিনীপুর: একুশে জুলাই গোটা বাংলার রাজনৈতিক মহল নজর ত্রিমুখী। একদিকে ধর্মতলা, অন্য়দিকে উত্তরকন্য়া ও তার মাঝে বিকল্প ভাবনার ‘প্রতীক‘ দিলীপ ঘোষের কর্মসূচি। তাও আবার কোথায় খড়্গপুরে। যেখান থেকে প্রথমবার জীবনে কোনও সংসদীয় নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি। সেই খড়্গপুরেই ফিরে এসে এবার হবে দিলীপের ‘শহিদ স্মরণ‘ সভা।
তবে একা দিলীপ নন। একুশ তারিখ যখন খড়্গপুরের জমিতে নিজের আসর সাজাতে চলেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। সেই আবহে আরও একটি অভিনব কর্মসূচির ঘোষণা করল খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মনে দলে তাঁর ‘গুরুত্ব‘ নিয়ে খানিক সংশয় রয়েছে। পথে-ঘাটে বিজেপির অন্য নেতাদের দেখা গেলেও, হিরণের গন্ডিটা যেন খড়্গপুরেই সীমাবদ্ধ। আর সেই বিজেপি নেতাই এবার ঘোষণা করল একটি নতুন কর্মসূচির।
একেবারের তৃণমূলের ‘দিদি কে বলো‘ কর্মসূচির কায়দায় শুধুমাত্র খড়্গপুরের মানুষের জন্য ‘হ্যালো বিধায়ক‘ কর্মসূচির সূচনা করলেন তিনি। এদিন নিজের সমাজমাধ্য়মেই একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর প্রদান করে সেই ‘হ্যালো বিধায়ক‘ কর্মসূচি শুরু করেন হিরণ। কীভাবে খড়্গপুরের মানুষ সেখানে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাবে, নিজের পোস্টে সেই বিষয়টাও বুঝিয়ে দেন বিজেপি বিধায়ক।
একজন প্রাক্তন ও অন্যজন বর্তমান। একজন জোর দিচ্ছেন সংগঠনে, সেই আগের কায়দা। আর একজন জোর দিচ্ছেন ‘জনস্বার্থে‘। ওয়াকিবহাল বলছে, প্রাক্তন-বর্তমানের এই ভিন্নমুখী কর্মসূচি মোটেই ঠিক লাগছে না। দিলীপ-হিরণের সম্পর্ক অনেকটাই ‘অম্লমধুর‘, সামনেই আবার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিধায়ককে ‘পেরিয়ে‘ খড়্গপুরকে বাছাই, কোথাও গিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতেই বড় বদল আভাস হতে পারে। আর ‘শহিদ স্মরণ‘ কর্মসূচির জন্য হঠাৎ করেই তো খড়্গপুরকে বেছে নেননি দিলীপ। তাঁর এই কর্মসূচির কথা তিনি জানিয়েছিলেন দিল্লিতে নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর।

