Ghatal: ডেবরায় শ্লীলতাহানি অভিযোগ, সিআরপিএফ বলল তাদের কোনও যোগ নেই
Election Commission: অভিযোগ উঠে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপও করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানকে ভোটের ডিউটি থেকে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় অন্য জওয়ানকে নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগের সঙ্গে নিজেদের কোনও যোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সিআরপিএফ। সিআরপিএফ-এর ওয়েস্ট বেঙ্গল সেক্টর থেকে এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে সিআরপিএফের কোনও যোগ নেই।
ডেবরা ও কলকাতা: পঞ্চম দফার পর এবার ষষ্ঠ দফাতেও একই ধরনের অভিযোগ। এবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডেবরায় ভোটের ডিউটিতে যাওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে এই অভিযোগ পৌঁছে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। আর অভিযোগ উঠে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপও করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানকে ভোটের ডিউটি থেকে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় অন্য জওয়ানকে নিয়ে আসা হয়েছে। এলাকার ওই অভিযোগকারী গৃহবধূর দাবি, ওই জওয়ান বাড়িতে এসে জল খেতে চেয়েছিলেন। সেই সময়েই তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ মহিলার।
এমন একটি অভিযোগ যে উঠে এসেছে, সে কথা মানছেন স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকও। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডেবরার ওই অঞ্চলের বিডিও জানিয়েছেন, এমন একটি অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই জওয়ানকে ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি পুলিশ দেখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগের সঙ্গে নিজেদের কোনও যোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সিআরপিএফ। সিআরপিএফ-এর ওয়েস্ট বেঙ্গল সেক্টর থেকে এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে সিআরপিএফের কোনও যোগ নেই।
প্রসঙ্গত, এর আগে পঞ্চম দফার নির্বাচনের সময়েও উলুবেড়িয়ায় ভোটের ডিউটিতে আসা এক জওয়ানের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেও সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছিল নির্বাচন কমিশন। ভোটের ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই বিএসএফ জওয়ান। পরে সেদিনই ভোট পর্ব শেষ হতে না হতেই বিবৃতি প্রকাশ করেছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিএসএফ একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ ও পেশাদার বাহিনী। কোনওধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গ বিএসএফ কোনওভাবেই বরদাস্ত করে না, সেটাও কড়া ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এটাও জানিয়েছিল, বাহিনীর তরফে তদন্ত করা হচ্ছে বিষয়টির এবং দোষ প্রমাণিত হলে ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।