Ghatal: ‘ডিজে-র কেন ব্যবস্থা নেই?’, মত্তদের বায়নাক্কায় তুমুল অশান্তি ঘাটালে
Ghatal: ডিজে-র ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙচুর করা হয় পুজোর প্যান্ডেল। এমনকি পুজো কমিটির সদস্যদের বসার জায়গা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামের মানুষ সবে প্রতিমাকে বার করেছেন, নিরঞ্জন যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে, তখনই একদল যুবক এসে প্রশ্ন করেন, ‘ডিজে-র ব্যবস্থার নেই কেন?’ আর তারপরই শুরু তাণ্ডব। দশমীতে অশান্তি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মনসুকা এলাকায়।
ডিজে-র ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙচুর করা হয় পুজোর প্যান্ডেল। এমনকি পুজো কমিটির সদস্যদের বসার জায়গা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলাকেও। অভিযোগ ঘিরে সরগরম এলাকা। রাতে খবর পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
শুক্রবার রাতে গ্রামের বাসিন্দারা একসঙ্গে প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা বার করেন। অভিযোগ, প্রতিমা নামানোর ঠিক পরেই কয়েক জন যুবক মত্ত অবস্থায় ওই এলাকায় আসেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডিজে-র ব্যবস্থা করেননি উদ্যোক্তারা। কিন্তু সেকথা মানতে নারাজ ছিলেন মত্ত যুবকরা।
মণ্ডপের সামনেই অশান্তি শুরু হয়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন কয়েকজন গ্রামবাসী। মারধর, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কয়েকজন মহিলাও আক্রান্ত হন বলে খবর। মত্ত অবস্থায় যুবকরা তাঁদেরকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
এক গ্রামবাসীর কথায়, “বারবার একই কথা বলে যাচ্ছিল ওরা। ডিজে কেন নেই? কিন্তু ভিড় এড়ানোর জন্য ডিজে ব্যবস্থা এবার করা হয়নি। তারওপর বৃষ্টির মধ্যে পুজোও ছোটো করে করা হয়েছে। অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ওরা বোঝেনি। ঝামেলা করতেেই থাকে।”
তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকেই আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তাতে আরও ক্ষেপে যান গ্রামবাসীরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের আটক বা গ্রেফতার করা হবে না, এমন কোনও বিষয় নেই। তবে তার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে হবে। লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরই পুলিশ পদক্ষেপ করবে।