Medinipur Medical: ১০টা ৫০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ওটি-তে ঠিক কী ঘটেছিল, প্রসূতি মৃত্যুতে ভয়ঙ্কর তত্ত্ব, উঠে আসছে ‘হিউম্যান এরর’ ফ্যাক্টর
Medinipur Medical: রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৫০ মিনিট- এই সময়ের মধ্যে যে ৭ টি অস্ত্রোপচার হয়েছিল, সেখানে কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। তিনি ওটি সংলগ্ন একটি ঘরে ছিলেন। ওটি করেন, থার্ড ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের পিজিটি।
কলকাতা: নিজেদের দায় ঝাড়তেই কি ডাক্তার-স্বাস্থ্য কর্মীদের ঘাড়ে দায় চাপাতে চাইছে স্বাস্থ্যদফতর? প্রসূতি মৃত্যুতে বড় প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকদেরই একাংশের তরফে। উৎপাদন ও সরবরাহ নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পরও কীভাবে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের আর এল স্যালাইন গেল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে? কিন্তু আদতে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ কী? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে দুটো শিবির। উঠে আসছে ‘হিউম্যান এরর’এর তত্ত্ব।
একদিকে রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসকরা, আর অন্যদিকে, রয়েছেন স্বাস্থ্য় ভবনের শীর্ষ কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, যে বিশেষজ্ঞদের খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে একটা ঘটনাক্রম তৈরি করেছেন। তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতে কমিটি জানতে পেরেছে, বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১৪টা ওটি হয়েছিল। মধ্যিকার সময়কে তিনটি সারণীতে ভাগ করেছেন।
প্রথমটা হচ্ছে বুধবার সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। তার মধ্যে প্রথম ৫ টি ওটিতে, সিনিয়র চিকিৎসকরা ছিলেন।
এরপর দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা। তার মধ্যে মাত্র ২টো অপারেশন হয়েছিল। সেক্ষেত্রে একই ইউনিটের অন্য সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর সঙ্গে একজন পিজিটি ছিলেন।
তারপর রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৫০ মিনিট- এই সময়ের মধ্যে যে ৭ টি অস্ত্রোপচার হয়েছিল, সেখানে কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। তিনি ওটি সংলগ্ন একটি ঘরে ছিলেন। ওটি করেন, থার্ড ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের পিজিটি। তাঁদের অ্যাসিস্ট করেছেন ইন্টার্নরা। কিন্তু বিষয় হচ্ছে, ওটিতে ইন্টার্নদের থাকার কথাই নয়। পিজিটিরা সিনিয়র চিকিৎসকদের সাহায্য করবেন।
বিশেষজ্ঞ কমিটি এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না, কেবল স্যালাইন বিভ্রাটেই এই গন্ডগোল, এর পিছনে ‘হিউম্যান এরর’ও থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য সৌমিত্র ঘোষ বলেন, “অক্সিটোসিনের ব্যবহার ঠিক মতো করা হয়েছে কিনা, সেটা বিচার্য, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্ত কাগজ খতিয়ে দেখে আরও রিভিউ করা হবে। ড্রাগ টেস্টিংয়ের ফাইনাল রিপোর্ট ও অ্যানালিসিস, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসলে, কিডনি কেন ফেলিওর হল, সেটি বিশদে বোঝা যাবে, তেমনি কোনও হিউম্যান ফ্যাক্টর রয়েছে কিনা, একই রাতের মধ্যে কেন পাঁচটা ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে।”