Mid Day Meal: ‘যে কটা কেস সামনে এসেছে, সব ক’টাই বাড়িতে হয়েছে’, মিড ডে মিলে আরশোলা-সাপ-ব্যাঙের কেসে নয়া তত্ত্ব!

Mid Day Meal: সমস্ত আইসিডিএস স্কুল ঘুরে বাচ্চা ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। রান্না করার জায়গা থেকে আইসিডিএস কেন্দ্রের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

Mid Day Meal: 'যে কটা কেস সামনে এসেছে, সব ক'টাই বাড়িতে হয়েছে', মিড ডে মিলে আরশোলা-সাপ-ব্যাঙের কেসে নয়া তত্ত্ব!
ঘাটাল মিড ডে মিল পরিদর্শনে মহকুমা শাসক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2023 | 11:57 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: মিড ডে মিল (Mid Day Meal) তদন্তে রাজ্যে দিল্লির দল (Delhi Team)।এরমধ্যেই ফের শিশুদের খাবারে আরশোলা। ফের বিতর্কে ঘাটালের (Ghatal) আইসিডিএস কেন্দ্র (ICDS)। খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। সকাল থেকে আইসিডিএস কেন্দ্রগুলি পরিদর্শনে বিডিও থেকে মহকুমা শাসক। ঘাটাল মহকুমা সমস্ত স্কুলে স্কুলে চলল নজরদারি। বুধবার সকাল থেকেই ঘাটাল মহকুমা শাসক, সুমন বিশ্বাস-সহ বিভিন্ন ব্লকের বিডিওরা আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিতে ঘুরছেন।

মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “মহকুমা জুড়ে পরিদর্শন চলবে। এটা চলবে। দুটো সেন্টার দেখলাম। একটার পরিকাঠামো ভালো, একটা পিছিয়ে। যে ক’টা ঘটনা ঘটেছে, সেগুলি কোনওটাই সেন্টারে ঘটেনি। যে কটা কেস সামনে এসেছে, সব কটাই বাড়িতে। তাই কোথায় খাবারে কী পড়ছে সেটা দেখার রয়েছে। আমরা কেন্দ্রে গিয়ে কথা বলেছি, তারা বলছেন, রান্নার সময়ে এমনটা হয় না। দেখা যায়, বাচ্চা খাবার কিছু না ঢেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় খালি পাত্রে খাবার নিয়ে যায়। তাই আমরা নির্দেশ দিয়েছি, যতটা সম্ভব যাতে সেন্টারে বসিয়েই খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যায়। প্রসূতিদের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে খাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যেতে পারে।”

সমস্ত আইসিডিএস স্কুল ঘুরে বাচ্চা ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। রান্না করার জায়গা থেকে আইসিডিএস কেন্দ্রের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা (Chandrakona) ২ নং ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিডডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা পাওয়া যায়। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। গত কয়েক মাসে রাজ্যের একাধিক জেলায় মিড ডে মিলের খাবারে কখনও সাপ, কখনও ব্যাঙ কিংবা টিকটিকি মিলেছে। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা তৈরি হয়েছে। মিড ডে মিলের গুণগত মান ও পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে এসেছে বিশেষ প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও পরিদর্শন করেন। তার মধ্যেই মিড ডে মিলে আরশোলা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আরও বিতর্ক ছড়ায়। চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অভিজিৎ পোড়িয়া পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখেন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান।

অন্যদিকে, আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের রানিসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের একতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় এক মাস যাবৎ মিড ডে মিলের কোনও রান্না হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। তাতে অভিভাবকরা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। জেলায় যখন কেন্দ্রীয় টিম, তখন এই ধরনের একাধিক ঘটনায় বিতর্ক ছড়ায়। এরপর বুধবারই জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পরিদর্শনকে বের হলেন মহকুমা শাসক।