TMC: তৃণমূলের হাতে ‘মার’ খাচ্ছে তৃণমূল, মঙ্গলকোটে মারাত্মক অভিযোগ

Purba Burdwan: মঙ্গলকোট থানার কামালপুর গ্রামের প্রাক্তন প্রধান হাসনাবানু বেগম ও তাঁর পরিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই গ্রাম ছাড়া। অভিযোগ, তৃণমূলেরই আরেক গোষ্ঠীর দাপট বাড়তেই এলাকা ছাড়তে হয় তাঁদের। হাসনাবানুর দেওর শেখ সাবির আলি। তাঁরাও গ্রাম ছাড়াই ছিলেন। গ্রামে ফিরতেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

TMC: তৃণমূলের হাতে 'মার' খাচ্ছে তৃণমূল, মঙ্গলকোটে মারাত্মক অভিযোগ
আক্রান্তের মা বাড়ির সামনে। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 5:17 PM

পূর্ব বর্ধমান: এ যেন উলট পুরাণ। পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে এলাকায় ঢুকতে পারছেন না খোদ তৃণমূলেরই সদস্য। তবে কোনও বিরোধী শিবিরের চোখরাঙানি নয়। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই পরিস্থিতি। সেই নেতা বাড়ি ফিরতেই হামলার শিকার হন বলেও অভিযোগ উঠছে। বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ের ভিতর ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তালা ভেঙে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিবার। মঙ্গলকোটের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আহত ওই তৃণমূল কর্মী বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি।

মঙ্গলকোট থানার কামালপুর গ্রামের প্রাক্তন প্রধান হাসনাবানু বেগম ও তাঁর পরিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই গ্রাম ছাড়া। অভিযোগ, তৃণমূলেরই আরেক গোষ্ঠীর দাপট বাড়তেই এলাকা ছাড়তে হয় তাঁদের। হাসনাবানুর দেওর শেখ সাবির আলি। তাঁরাও গ্রাম ছাড়াই ছিলেন। গ্রামে ফিরতেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রহিম মল্লিকের লোকজনের দিকে অভিযোগের আঙুল। শেখ সাবির আলিকে তাঁরাই মারধর করেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে রহিম মল্লিককে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত কারণে এই মারামারি হয়ে থাকতে পারে। এতে দলের কেউ যুক্ত নয় বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে আহত তৃণমূল কর্মীর মা ইসমাতারা বিবির দাবি, ভয়ে ছেলে বাড়িতে থাকত না। ফিরতেই তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করল। এদিকে এই ঘটনায় মারফত আলি মল্লিক ও বদরুল শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। সোমবার কাটোয়া আদালতে পাঠানো হয় তাঁদের।

শেখ সাবির আলির বক্তব্য, “রহিমের ছেলেরাই মেরেছে। ও এখন উপপ্রধান। আগে শান্ত সরকার উপপ্রধান ছিলেন। ওনার নেতৃত্বেই আমরা ছিলাম। ওরা ভোটের টিকিট পাওয়ার পর থেকেই ভয় দেখাত। তাই বাড়ি থেকে চলে আসি। ৬-৭ মাস ছিলাম। সকলকে বলি, বাড়ি ফিরতে চাই। দলের হস্তক্ষেপে ফিরি। দল তো আমাদের একটাই, তৃণমূল। কিন্তু এমন অবস্থা হবে ভাবিনি।”

এদিকে রহমত শেখের কথায়, “তৃণমূলের আমলে বাড়ি ছাড়া কেউ নেই। সকলে বাড়িতে। হয়ত পারিবারিক ঝামেলার কারণে মেরেছে কেউ। রাজনীতির সম্পর্কই নেই। দল বরং ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রশাসন গ্রেফতার করেছে।”