Bhatar: ইঞ্জিনিয়ার বোনপো কি না শেষে মাসীকে…., ভাতারে ভয়াবহ ঘটনা
Purba Bardhaman: বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ সুপার সায়ক দাস। তিনি সেখান থেকে জানান, বিকেলে ভাতার থানায় সুপর্ণা চৌধুরী নামে একজন এসে জানান তাঁদের বৃদ্ধ মাসী মেসোর সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁরা একলা থাকেন।
ভাতার: পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে এক অভিজিৎ যশ ও ছবি যশ নামে এক দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়েছিল। নৃশংস ভাবে খুন করা হয় তাঁদের। ঘটনার তদন্তে নামে ভাতার থানার পুলিশ। প্রথম থেকেই পুলিশ সন্দেহ করছিল আত্মীয়দের মধ্যেই কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। অবশেষে খোঁজ মিলল তাঁদের। দম্পতিকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তিন। তাঁরা কারা জানেন?
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ সুপার সায়ক দাস। তিনি সেখান থেকে জানান, বিকেলে ভাতার থানায় সুপর্ণা চৌধুরী নামে একজন এসে জানান তাঁদের বৃদ্ধ মাসী মেসোর সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁরা একলা থাকেন। তাঁদের নাম অভিজিৎ ও ছবি যশ। নিসন্তান এবং সত্তরোর্ধ। পুলিশ দ্রুত বাড়িতে পৌঁছে তালা ভেঙে পরপর দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর,গ্রেফতার হওয়া তিনজনের নাম মহুয়া সামন্ত, দুই ছেলে। একজন অনিকেত সামন্ত ও অন্যজন অরিত্র সামন্ত। মহুয়া হলেন মৃতা ছবি যশের সেজো বোন। সম্পত্তি নিয়ে লোভের জেরেই তারা এই কান্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। অভিযোগকারী মহুয়া সামন্তের দাবি, এর আগে ছবির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা হয়। ঘটনার দিনও ঝামেলা হয়। তবে টাকার দাবি না মেটায় দম্পতিকে খুন করেন তাঁরা। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কলেজে পড়েন। অন্যজন ইঞ্জিনিয়র। কী কী জিনিস খোয়া গিয়েছে, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, ধৃতদের আদালতে তুলে পুলিশী হেফাজত চাওয়া হবে। এরপর তদন্ত আরও অগ্রসর হবে।
উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার রবীন্দ্রপল্লী এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ যশ ও ছবি যশ। পুলিশ এসে দেখেন তাঁদের ঘর লণ্ডভণ্ড। প্রাণহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁদের দেহ।