Burdwan: রাতের খাবার ঘুগনিতে মিশল ছেলের ঝলসে যাওয়া চামড়া! ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী মা
Burdwan: আকসামের বাড়ি ধনঞ্জয়পুরে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, সে সময়ে বাড়িতে আকসাম ও তার মা মানুয়ারা বেগম ছিলেন। মা ছেলেকে সামলে রান্না করছিলেন। ছেলে ঘরে খেলা করছিল।
বর্ধমান: সবে হাঁটা শিখেছিল। মা ব্যস্ত ছিলেন রান্নাঘরে। রাতে রুটি দিয়ে খাবেন বলে ঘুগনি রান্না করছিলেন। রান্না শেষও হয়ে গিয়েছিল। মশলা নেওয়ার জন্য অন্য দিকে ঘুরেছিলেন। তখনই ঘটে যায় সর্বনাশ। তিনি খেয়ালও করেননি ছেলে পিছন থেকে চলে এসেছিল। উনুনের পাশেই রান্না ছিল ঘুগনির কড়াই। খেলতে খেলতে টাল সামলাতে না পেরে ফুটন্ত ঘুগনির মধ্যেই পড়ে যায় বছর দেড়েকের ছোট্ট আকসাম। ঝলসে যায় শরীর। শেষমেশ মৃত্যু। ভয়ঙ্কর ঘটনা বীরভূমের ধনঞ্জয়পুরে। মৃতের নাম আকসাম শেখ।
জানা গিয়েছে, আকসামের বাড়ি ধনঞ্জয়পুরে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, সে সময়ে বাড়িতে আকসাম ও তার মা মানুয়ারা বেগম ছিলেন। মা ছেলেকে সামলে রান্না করছিলেন। ছেলে ঘরে খেলা করছিল। সেই ফাঁকে রাতের খাবার রান্না করছিলেন আকসামের মা। ঘুগনি রান্না করেছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মানুয়ারা উনুন থেকে ঘুগনির কড়াইটি পাশে নামিয়ে ঘরের ভিতরে মসলা আনতে গিয়েছিলেন। সে সময়েই কড়াইয়ে পড়ে যায় আকসাম।মানুয়ারা বেগম আকসামকে উদ্ধার করে স্থানীয় মুরারই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থায় অবনতি হওয়ায় বীরভূম রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে রামপুরহাট থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মৃত্যু হয় ছোট্ট আকসামের। দেহটি ময়নাতনদের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গে।