Purbasthali: স্কুলে ঢুকতে বাধা শিক্ষকদের, চাঁদার জুলুম? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ?
Purbasthali news: ক্লাব সদস্যদের একাংশের পাল্টা বক্তব্য, শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেবিতে স্কুলে আসেন। সেই কারণে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
পূর্বস্থলি: দুর্গাপুজো মিটেছে। কালীপুজোও শেষ। জগদ্ধাত্রী পুজো চলছে। কিন্তু দুর্গাপুজোর জন্য চাঁদার হিড়িক এখনও মিটছে না। উঠছে জুলুমবাজির অভিযোগও। দাবি মতো দুর্গাপুজোর চাঁদা না দেওয়ার কারণে শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল ক্লাব সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্বস্থলীর (Purbasthali) বিশ্বরম্ভা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে। অভিযোগ, পুজোর জন্য প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকার থেকে হাজার টাকা করে টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে চেয়েছিলেন বলে দাবি। কিন্তু তাতে নাখুশ ছিল ক্লাবের ওই সদস্যরা। এরপরই এদিন শিক্ষকদের স্কুল ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও ক্লাব সদস্যদের একাংশের পাল্টা বক্তব্য, শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেবিতে স্কুলে আসেন। সেই কারণে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকালের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনার খবর যায় পূর্বস্থলী থানাতেও। দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের দাবি, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ স্কুলের সামনে দাঁড়িয়েছিল বেশ কয়েকজন যুবক। সাড়ে দশটার পর স্কুলে যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা আসেন, তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। অপরপক্ষের অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেরিতে স্কুলে আসছিলেন, তাই বাইরে আটকে রাখা হয়েছে। প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে থাকার পর পূর্বস্থলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়।
যাঁরা ওই স্কুল শিক্ষকদের ঢুকতে বাধা দিয়েছিল, তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষকরা নিজেদের সময় মতো স্কুলে আসেন, আবার নিজেদের সময় মতো বেরিয়ে যান। সেই জন্যই তাঁরা আজ শিক্ষকদের আটকে দিয়েছিলেন। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, এই যুবকরা দুর্গা পুজোর সময় এক-এক জনের থেকে হাজার টাকা করে চাঁদা কেটেছিল। সেই টাকা দিতে না চাওয়ায়, তাঁদের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি, সেই টাকা না দেওয়ার কারণেই, তাঁদের এইভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। যদিও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।