বাড়ছে সংক্রমণ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নোটিস ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই’
ভোটের (West Bengal elections 2021) আবহে অন্যান্য জেলার মত পূর্ব বর্ধমানেও করোনা পরিস্থিতি লাগামহীন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, এ জেলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৫ জন।
পূর্ব বর্ধমান: অপ্রতুল টিকা (COVID-19 Vaccine)। এদিকে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এই জোড়াফলায় বিধ্বস্ত বাংলা। ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় আরও এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঝুলল নোটিস। বন্ধ হল টিকাকরণ। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই ঘটনায় চিন্তার ছাপ এলাকার বর্ষীয়ানদের চোখে মুখে।
গোটা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যেও উর্ধ্বমুখী কোভিড আক্রান্তের গ্রাফ। প্রতিদিন মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বর্ম বলতে মাস্ক-স্যানিটাইজার-টিকা। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই ‘কোভিড টিকাকরণ’ অভিযানের ব্যাপ্তি ঘটাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তা যে কতটা কঠিন বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই ঘটনা তা বুঝিয়ে দিল। কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল চত্বরে ফ্লেক্স ঝুলিয়ে দিয়ে দাবি করেছে, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই’।
আরও পড়ুন: পুকুর বুজিয়ে ফেলছে মাটি মাফিয়ারা! ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে সরকারি রাজস্বে
ভোটের আবহে অন্যান্য জেলার মত পূর্ব বর্ধমানেও করোনা পরিস্থিতি লাগামহীন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, এ জেলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৫ জন। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট বলছে, গত ১৫ এপ্রিল জেলায় ১৭৮ জনের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেদিন পর্যন্ত জেলায় মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩,৭৯১ জন। এর পর মাত্র ১৪ দিনে মধ্যে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮, ৯৬৪ জন। এই অবস্থায় টিকার ভাঁড়ারে টান।
জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ঋত্বিক ঘোষের কথায়, কোভিড ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ার পর এদিন পর্যন্ত আর ভ্যাকসিন হাসপাতালে পৌঁছয়নি। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রথম দিকে যখন হাসপাতালে টিকাকরণ শুরু হয়েছিল, তখন মানুষের আগ্রহ খুবই কম ছিল। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন জামালপুরের বাসিন্দা। ইদানিং উপচে পড়া ভিড় হাসপাতালের সামনে।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, শুক্রবার যদি ভ্যাকসিন এসে যায় তবে শনিবার থেকে ফের টিকা দেওয়া শুরু হবে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় টেলিফোনে জানান,“জেলায় ভ্যাকসিন অপ্রতুল থাকাতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।” কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও এখনই বলতে পারছেন না তিনি।