Ketugram Crime: স্ত্রী-র হাত কাটতে ভাড়াটে খুনি? হাত কাটার সময়ের অভিজ্ঞতা জানালেন রেণু
Ketugram: পরিকল্পনা মাফিক নিজের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে নিয়ে ভাড়াটে দু'জন খুনিও নিয়ে এসেছিল শের। পুলিশি তদন্ত যত এগোচ্ছে সামনে আসছে এই রকমই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কেতুগ্রাম: শনিবার রাত সাড়ে ১০টা। ঘুমের মধ্যেই স্ত্রী রেণু খাতুনের ডান হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী শের মহম্মদের বিরুদ্ধে। প্রাণে না মেরে স্ত্রীকে ভয়ঙ্কর রকমের ‘শাস্তি’ দিতে চেয়েছিল সে। শুধুমাত্র সেই আশঙ্কায়, যাতে সরকারি চাকরি পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে চলে না যান রেণু।আর সেই কসরতে কোনও খামতিও ছিল না। পরিকল্পনা মাফিক নিজের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে নিয়ে ভাড়াটে দু’জন খুনিও নিয়ে এসেছিল শের। পুলিশি তদন্ত যত এগোচ্ছে সামনে আসছে এই রকমই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মঙ্গলবার শের মহম্মদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পূর্ব বর্ধমান জেলারই এক প্রান্তে ঘাপটি মেরে ছিল সে। সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় শের। তদন্ত এগোয়। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর হাত কাটার জন্য শের মুর্শিদাবাদ থেকে দু’জন ভাড়াটে খুনিকে নিয়ে এসেছিল আত্মীয়র মারফত। যেহেতু রেণুকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে না সেই কারণে খুব কম টাকার বিনিময়ে তাদের ভাড়া করে নিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত।
এ দিকে, রেণু খাতুন পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বাপের বাড়িতে ছিলেন তিনি। রাত্রি ন’টা নাগাদ স্বামী শের মহম্মদ তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। এরপর যখন তিনি ঘুমিয়ে পড়েন তখনই হামলা চালান হয় তাঁর উপর। রেণুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘুমের মধ্যে তাঁর মুখে বালিশ চাপা দেয় স্বামী শের। চোখ খুলতে তিনি দেখতে পান তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে রেখেছে শের মহম্মদ। পাশে দাঁড়িয়ে আরও দু’জন। পুলিশ মনে করছে, ওই দু’জনই ভাড়াটে খুনি। যদি, শের স্ত্রীর মুখে বালিশ চাপা দেয় তাহলে ভাড়াতে ওই খুনিরাই রেণুর হাত ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান।
বুধবার রেণু খাতুনের স্বামী শের মহম্মদকে কাটোয়া আদালতে তোলার পর রিমান্ডে নেওয়া হবে। তারপর তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
বস্তুত, ২০১৭ সালে শের মহম্মদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রেণুর। বিয়ের পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে নার্সিং কোর্স করেন তিনি। এরপর সরকারি চাকরির প্যানেলে নামও আসে তাঁর। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি তাঁর স্বামী। স্ত্রীর হাতের কবজি কেটে নিয়ে চম্পট দেয় সে।