Madhyamik 2023: ছাত্রীর দুর্বলতার কথা ভাবলই না স্কুল, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার প্রথম দিনই চোখে জল দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীর
Madhyamik 2023: এই বিষয়েও নিয়মকানুন ঠিকমত জানেই না রাজিফা ও তার পরিবার। ফলে বৃহস্পতিবার বাংলা পরীক্ষায় উত্তর না লিখতে পেরে চোখের জল নিয়েই বাড়ি ফিরল পরীক্ষার্থী৷
কাটোয়া: এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেও লিখতে পারল না এক দৃষ্টিহীন ছাত্রী। শ্রুতি লেখকের সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম না জানায় মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হল না মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী রাজিফা খাতুনের।।প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন না দেখতে পাওয়ায় সাদা খাতা জমা দিতে হল এই পরীক্ষার্থীকে।পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে জীবনের প্রথম পরীক্ষায় অনিশ্চয়তা নিয়ে আক্ষেপ রাজিফা খাতুনের। কাটোয়ার পঞ্চানন তলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। মাধ্যমিক পরীক্ষায় দৃষ্টিহীনদের জন্য বিশেষভাবে লেখকের ব্যবস্থা করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই বিষয়েও নিয়মকানুন ঠিকমত জানেই না রাজিফা ও তার পরিবার। ফলে বৃহস্পতিবার বাংলা পরীক্ষায় উত্তর না লিখতে পেরে চোখের জল নিয়েই বাড়ি ফিরল পরীক্ষার্থী৷
পরীক্ষার বাকি দিনগুলিতেও কী হবে তা নিয়েই শুরু হয়েছে ঘোর দুশ্চিন্তা। অন্য বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষার সিট পড়ায় পঞ্চাননতলা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসের মুর্শিদ মৌখিক বলেন, “আমাদের কাছে স্কুল থেকেও জানানো হয় নি। তাই লেখক দেওয়া যায় নি।”
কাটোয়া ১ ব্লকের আলমপুর পঞ্চায়েতের অর্জুনডিহি গ্রামের বাসিন্দা নজরালি শেখের মেয়ে রাজিফা খাতুন। জন্ম থেকেই চোখে সমস্যা। ডাক্তার দেখানো হলেও ঝাপসা দেখে কাছের বস্তু। ৯০ শতাংশ দৃষ্টিহীন সার্টিফিকেট রয়েছে তার।এই ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন,রাজিফার স্কুলের শিক্ষকরা কি জানতেন না যে তার লেখকের প্রয়োজন ? এ নিয়ে আলমপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুদ্ধদেব মণ্ডল মৌখিক বলেন, “পরীক্ষায় রাজিফার লেখক প্রয়োজন। ওর পরিবার থেকে কেউ জানায় নি। তাই আমরাও কিছু করতে পারিনি।”
অন্যদিকে রাজিফার বাবা নজরালি শেখ বলেন, “স্কুল সবই জানত যে আমার মেয়ে চোখে ভাল দেখতে পায় না। স্কুলে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট জমা দেওয়া আছে। আমরা লেখক কীভাবে দিতে হয় তা জানতাম না।”