Mysterious death : দরজা খুলতেই চোখ কপালে উঠল প্রতিবেশীদের, দুই মেয়ের সঙ্গে মেঝেতে পড়ে মায়ের দেহ
Mysterious death : ওই বাড়িতেই থাকেন মৃণালিনী চৌধুরীর মা প্রতিমারাণী মণ্ডল। তবে তিনি বাড়ির দোতলায় থাকেন।
পূর্ব বর্ধমান: বাড়ির ভিতর থেকে মা ও দুই মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমানের পীরপুকুর এলাকায়। একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু (Mysterious death) ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধেছে এলাকাজুড়ে। মৃত মা মৃণালিনী চৌধুরী (৬০) ও তার দুই মেয়ের নাম বন্দিতা চৌধুরী (৪০) এবং সংঘমিতা চৌধুরী (৩২)। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মর্গে পাঠায়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে রোজকার মত তাঁদের বাড়িতে কাজে আসেন আয়া রূপালী হাজরা। কিন্তু, গিয়ে দেখেন বাড়ির দরজা বন্ধ। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও কারও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। এরপরই খবর দেন প্রতিবেশীদের। খবর দেওয়া হয় আত্মীয়দেরও।
এদিকে ওই বাড়িতেই থাকেন মৃণালিনী চৌধুরীর মা প্রতিমারাণী মণ্ডল। তবে তিনি বাড়ির দোতলায় থাকেন। আয়ার ডাকেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই বাড়ির অন্য দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন। দোতলা দিয়ে বাড়িতে ঢুকে মৃণালিনী চৌধুরীদের বাড়ির দরজা ভিতর থেকে খুলে দেন। কিন্তু, দরজা খুলতেই চোখ কপালে উঠে যায় সকলের। দেখা যায় ঘরের ডাইনিংয়ের আশেপাশে তিনটি মৃতদেহ পড়ে আছে। পড়ে রয়েছে একটি বিষের বোতলও।
মৃণালিনী চৌধুরীর মামা বিশ্বনাথ মল্লিক বলেন, “করোনার সময় ওর স্বামী ও বাবা দুজনেই ভাইরাসের কবলে পড়ে মারা যায়। তারপর থেকেই ওদের বাড়ির সকলেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। বাড়িতে কোনও পুরুষ না থাকায়, ভীষণ একাকিত্বে ভুগতে শুরু করেছিল সকলে। সে কারণেই এ কাজ ঘটিয়ে থাকতে পারে।” পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান সকলেই আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার আসল কারণ জানতে প্রতিবেশী-সহ আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন, “তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন নেই শরীরে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরিস্কার হওয়া যাবে মৃত্যু নিয়ে।”