Purbo Burdwan Mutton Shop: একেই বলে বাঙালি! নবমীর সকালে দেড় কিলোমিটার লাইন খাসির মাংসের দোকানে
Purbo Burdwan Mutton Shop: দৃশ্যতই কোনও রেশন দোকান বা আধার কার্ড তৈরির লাইন। এটা দুয়ারে সরকারের শিবিরের লাইনও নয়। স্রেফ খাসির মাংস কেনার লাইন। নবমীর সকাল থেকে প্যান্ডেল মুখি হচ্ছেন মানুষ ,অষ্টমীর রাতেও প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ছিল লম্বা লাইন
পূর্ব বর্ধমান: ভোর রাতেই চমক। এতো মানুষ যাচ্ছেন কোথায়? রাস্তার মোড়ে মোড়ে এ কীসের লম্বা লাইন! রাত জেগে ভুরি-ভোজের জোগাড় করতে লাইনে মানুষ! পুজো মণ্ডপ ছেড়ে এবার খাসির মাংসের দোকানের সামনে হাজার মানুষের ভিড়! অন্য নবমীর সকাল।
নবমীর ভোর রাত থেকেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে লম্বা লাইন। অষ্টমীর সন্ধ্যায় রাতে যে লম্বা লাইন চোখে পড়েছিল মণ্ডপে মণ্ডপে, ভোর রাত- সকালে যেন সেই লম্বা লাইনের দেখা মিলছে শহর জুড়ে খাসির মাংসের দোকানের সামনে। কোথায় ২০০-২৫০ মিটার আবার কোথাও হয়তো হাফ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে লাইনের শেষ প্রান্ত।
দৃশ্যতই কোনও রেশন দোকান বা আধার কার্ড তৈরির লাইন। এটা দুয়ারে সরকারের শিবিরের লাইনও নয়। স্রেফ খাসির মাংস কেনার লাইন। নবমীর সকাল থেকে প্যান্ডেল মুখি হচ্ছেন মানুষ ,অষ্টমীর রাতেও প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ছিল লম্বা লাইন। অন্য রকমদিকে নবমীর সকাল হতেই ভুড়ি ভোজের জন্যও লম্বা লাইন। সকাল হতেই ব্যাগ হাতে খাসীর মাংস কিনতে লম্বা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন মানুষজন।
কেউ কেউ আবার দুই, তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন মাংস কেনার জন্য। কেউ ভোর রাত থেকেই লম্বা লাইনে। নবমী বলে কথা, বাঙালির পাতে একটু খাসির মাংস না হলে ঠিক জমে না। তাই নবমীর ভুড়ি ভোজে মাংস চাইই চাই। তাই ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়াতেও দ্বিধা বোধ করছেন না খাদ্যরসিক বাঙালি। অন্তত বর্ধমানের শহর গ্রামে মাংসের দোকানগুলির সামনের লম্বা লাইনের ছবি সেকথাই বলছে।