Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘থানার মেজোবাবু’কে সরল বিশ্বাসে ২০ হাজার টাকা পাঠালেন তৃণমূল নেতা, তারপর…

টাকা পাঠানোর পর আর কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না ওই নম্বরে। তড়িঘড়ি থানায় ছুটলেন বুলু মিঞা।

'থানার মেজোবাবু'কে সরল বিশ্বাসে ২০ হাজার টাকা পাঠালেন তৃণমূল নেতা, তারপর...
প্রতারিত তৃণমূল নেতা
Follow Us:
| Updated on: May 27, 2021 | 8:33 PM

পূর্ব বর্ধমান: ‘বাড়িতে বিপদ হয়েছে হাজার দশেক টাকা পাঠান।’ তৃণমূল (TMC) নেতার কাছে সকাল সকাল আসে ফোন। আর তাতে এ ভাবেই টাকা চান ‘থানার মেজোবাবু।’ সরল বিশ্বাসে সেই টাকা দিয়েও দেন ওই তৃণমূল নেতা। কড়কড়ে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন অনলাইনে। তারপর আর কোনও পাত্তা নেই। ফোন নম্বর নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে দেখলেন মেজোবাবুর নম্বরই নয় এটা। এ ভাবেই তৃণমূল নেতাকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়েছে কেউ বা কারা।  পরে ভাতার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলেন বুলু মিঞা নামে ওই নেতা।

পুলিশ আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে তৃণমূল নেতাকে ফোন করে প্রতারণার এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন ওরফে বুলু  মিঞা। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কাছেই আসে সেই ভুয়ো ফোন। থানার মেজোবাবু পরিচয় দিয়ে কুড়ি হাজার টাকার প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

তৃণমূল নেতা বুলু মিঞা জানান, এ দিন সকালে ৯ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ফোন আসে তাঁর কাছে। ও পার থেকে এক ব্যক্তি নিজেকে থানার মেজোবাবু বলে পরিচয় দেন। একটি কেস নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। এরপর বলেন, ‘আমার বাড়িতে একটু বিপদ হয়েছে। আমি একটা নম্বর পাঠাচ্ছি। ওই নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেবেন অনলাইনে?’ মেজবাবু বিশ্বাস করে অন্যজনের কাছ থেকে টাকা ধার করে পাঠিয়ে দেন তৃণমূল নেতা। তারপরে অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। এবার পরিচয় দেওয়া হয় ভাতার থানার মেজবাবুর ছেলে বলে। সেই ব্যক্তি বলে, ‘আসলে ২০ হাজার টাকা দরকার। বাবা লজ্জায় বলতে পারছে না।’ বাকি ১০ হাজারও বিনা দ্বিধায় পাঠিয়ে দেন ওই নেতা। তাঁকে এও বলা হয়, ‘কিছুক্ষণের মধ্যেই ওড়গ্রামে গিয়ে কুড়ি হাজার টাকা ফেরত দিয়ে আসছি।’

আরও পড়ুন: বাঁধ ভাঙা নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়লেন সেচমন্ত্রী, ৭ দিনে রিপোর্ট যাবে মমতার কাছে

দু’ঘণ্টা পরেও কেউ টাকা দিতে আসছে না দেখে ওড়গ্রাম ক্যাম্পে গিয়ে পুলিশ আধিকারিককে বিষয়টি খুলে বলেন বুলু মিঞা। তিনি জানতে পারেন ওই নম্বর আসলে মেজোবাবুর নয়। এরপরই ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।