একই রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী দুই, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কই কি কাল?
সম্পর্কের কথা জেনে যাচ্ছিল পরিবার। বাড়ছিল মানসিক চাপ, তাই বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ?
বর্ধমান: বিবাহিত সম্পর্কের বাইরে বেশ কিছুদিন ধরেই তৈরি হয়েছিল নতুন সম্পর্ক। বাড়ছিল যাতায়াত। একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে বিষয়টা আর গোপন থাকেনি। জানাজানি হয়ে যেতেই বাড়ছিল চাপ। আর এই পরিস্থিতিতে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রেমিক ও প্রেমিকা। একই রাতে নিজের নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দু’জনে। শুক্রবার রাতে নিজেদের বাড়িতেই আত্মঘাতী হন বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাসিন্দা রিয়া ও প্রদীপ।
বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয় রিয়ার। তাঁর এক পাঁচ বছররে কন্যা সন্তানও রয়েছে। স্বামী নারায়ণ মাজির সঙ্গে প্রথম থেকে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু, বছর দেড়েক আগে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় এলাকারই বাসিন্দা প্রদীপ মাজির। মঙ্গলকোটের বনকাপাসি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা তাঁরা। কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় যাতায়াত শুরু হয় দু’জনের। ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি চোখে পড়ে অনেকেরই। প্রদীপ মাজিও বিবাহিত বলে জানা গিয়েছে। পাড়ায় যখন এই সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা বাড়ে, তখন পরিবারের তরফ থেকেও চাপ বাড়তে থাকে। চাপের মুখেও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিলেন না কেউই। আর শুক্রবার রাতে দু’জনেই একই পন্থায় আত্মহত্যা করলেন। মানসিক চাপ বাড়ছিল বলেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নেন বলে অনুমান আত্মীয়দের।
আরও পড়ুন: একই গাছ থেকে উদ্ধার উচ্চ মাধ্যমিক টপার ও বন্ধুর ঝুলন্ত দেহ! তীব্র উত্তেজনা
শনিবার সকালে দু’জনকেই গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদের উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন রিয়ার আত্মীয়রা, কিন্তু কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। মৃত প্রদীপ মাজির আত্মীয় মৃনাল কান্তি পাল জানিয়েছেন, রিয়া ও প্রদীপের সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিলেন অনেকেই। কেউ মেনে নেবে না ভেবে্ তাঁরা মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন মৃনাল বাবু।