Raju Jha Murder Case: রাজু-খুনে রহস্য বাড়ছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এসপি অফিস থেকে বেরিয়ে একই গাড়িতে ব্রতীন-নুর
Purba Burdwan: পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যর সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। তারাই রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে।
পূর্ব বর্ধমান: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় অন্যতম সাক্ষী তাঁরা। শনিবার রাজুকে যখন শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবের সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা করা হয়, সে সময় সেই গাড়িতে ছিলেন ব্রতীন মুখোপাধ্যায়, রাজুর সঙ্গী। গাড়ির বাইরে ছিলেন চালক নুর। নূরকে কোনও বিপদই স্পর্শ করেনি, অন্যদিকে ব্রতীনের এক হাতে গুলি লাগে। রাজু-হত্যায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দু’জনের বয়ান। সেই ব্রতীনকেই সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ পূর্ব বর্ধমানে পুলিশসুপারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে বিকেল ৪টেয় সেই অফিসে ঢোকেন গাড়ির চালক শেখ নুর হোসেন। সূত্রের খবর, দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ চলে। এমনও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কখনও দু’জনকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কখনও আবার দু’জনকে আলাদা করে বসিয়ে প্রশ্ন করা হয়। রাত তখন ৮টা বেজে ৫০ মিনিট। পুলিশসুপারের অফিস থেকে বেরিয়ে যান ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও নুর হোসেন। ব্রতীন বেরোন সঙ্গে থাকা গাড়িতে। সেই গাড়িতেই ওঠেন নুরও। এদিন চালকের পাশে বসেছিলেন ব্রতীনের ভায়রা ভাই রঘুনাথ চক্রবর্তী। পিছনের সিটে বাঁদিকে ব্রতীন, তাঁর ডানদিকে শেখ নুর হোসেন।
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যর সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। তারাই রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। পুলিশ সুপারের অফিস পূর্ব বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকায়। এই বাদামতলা থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে দুর্গাপুর ঢোকার আগে পানাগড় পড়ে। এরপর দার্জিলিং মোড় ধরে বীরভূমের ইলামবাজারের পথে বেরিয়ে যাওয়া যায়। অথবা অন্য রাস্তায় ঢুকে যাওয়া যায় দুর্গাপুরেই।
নুরের বাড়ি বীরভূমের দুবরাজপুরে। এদিকে ব্রতীন দুর্গাপুরের বেনাচিতির বাসিন্দা। তাঁর বাড়ি রাজু ঝায়ের বাড়ি থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে। প্রশ্ন উঠছে, ব্রতীনের সঙ্গে একই গাড়িতে নুরের বেরোনোর কারণ? নুর কি তাহলে দুবরাজপুরে ফিরছেন না রাতে? নাকি পানাগড়ে নেমে যাবেন তিনি? যদি দুবরাজপুর না ফেরেন তাহলে প্রশ্ন, কোথায় রাত্রিবাস করবেন নুর? হতে পারে দুর্গাপুরে হয়ত তাঁর কোনও থাকার জায়গা রয়েছে। আবার এমনও হতে পারে, নুরের থাকার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তেমনটা হলে কে সেই ব্য়বস্থা করল, প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েও।
ইতিমধ্যেই নুর তাঁর বয়ানে পুলিশকে জানিয়েছে, শনিবার ঘটনার সময়ে গাড়িতে ছিলেন আব্দুল লতিফ। রাজু ঝা সামনে। আর পিছনের সিটে ছিলেন আব্দুল লতিফ ও ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। গুলির পর আব্দুল লতিফ যে কার্যত গায়েব হয়ে গিয়েছিল, তারও উল্লেখ রয়েছে তাঁর বয়ানে। এদিকে ব্রতীন জানিয়েছেন, তিনি লতিফকে চেনেন না। গাড়িতে কারা ছিল, জানতে চাওয়ায় বলেছেন, “জানেন তো কে ছিল, বারবার এক কথা কী বলব? একটাই প্রশ্ন কেন করছেন?”