Raju Jha murder case: রাজুর আততায়ী কারা? বয়ান শুনে ছবি আঁকাল পুলিশ
Purba Burdwan: পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যর সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ।
বর্ধমান: মিষ্টি খেতে নেমে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান রাজু ঝা। ভয়াবহ সেই খুনের ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। আর সেই তথ্যের ওপর ভর করেই কিনারা করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, সোমবার ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও গাড়ি চালক সেখ নূর হোসেনকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে দু’জন আততায়ীর ছবি আঁকানো হয়েছে। সেই ছবি দেখে আততায়ীদের খোঁজ চালাবে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই দুজনের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে এদিন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কখনও দু’জনকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কখনও আবার দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় খুনের ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই দিন ভোরে নীলগাড়িটা যায় ঝাড়খণ্ডে। দুপুরে সুপারি কিলারদের নিয়ে নীলগাড়িটি দুর্গাপুরে ঢোকে। এই সূত্র ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে ঝাড়খণ্ডে যাওয়া বর্ধমান জেলা পুলিশের একটি দল।
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যর সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। চালক নুর তাঁর বয়ানে পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার ঘটনার সময়ে গাড়িতে ছিলেন আব্দুল লতিফ। রাজু ঝা ছিলেন সামনের আসমে। আর পিছনের সিটে ছিলেন আব্দুল লতিফ ও ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। ঘটনার আব্দুল লতিফ কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি নুরের। অন্যদিকে, ব্রতীন দাবি করেছেন, তিনি আব্দুল লতিফকে চেনেন না।
ব্রতীনের বয়ান নিয়েও উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। যদি ব্রতীন গুলি চলার সময়ে গাড়ির বাইরে থাকেন, তাহলে তাঁর বাঁ হাতে গুলি লাগল কীভাবে? তা নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে।