Raju Jha Murder Case: রাজুকে খুনের সময় ল্যাংচা হাবের সামনেই ছিল ‘ইনফর্মার’, কিন্তু কে সে…
Burdwan: সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গাড়িটি কলকাতার উত্তর শহরতলির এক বাসিন্দার নামে কেনা। ২০১৭ সালে কেনা হয়েছিল গাড়িটি।
পূর্ব বর্ধমান: রাজু ঝা (Raju Jha Murder Case) খুনের পর ৬০ ঘণ্টা পার। এখনও অধরা শক্তিগড় হত্যাকাণ্ডের আততায়ীরা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের অনুমান, একটা নয়, দু’টো গাড়ি ছিল আততায়ীদের। ৩০ সেকেন্ডের ‘অপারেশন’ দেখে গোয়েন্দাদের দাবি, ঘটনাস্থলেই ছিল খুনের সঙ্গে যুক্ত কোনও ‘ইনফর্মার’। ঘটনার রাতে, প্রথমে আততায়ীদের নীল গাড়ি রাজুর গাড়ি ছেড়ে এগিয়ে যায়। তারপর ইউটার্ন নিয়ে ঘুরে আসে এবং ফের বর্ধমানের দিকে জাতীয় সড়ক ধরে এগিয়ে যায়। এই সময় ‘রং সাইড’-এ এগিয়েছে নীল গাড়িটি। অর্থাৎ আততায়ীরা প্রথমে রাজুর গাড়ি কোথায় সেটা দেখে নেয়, তারপর ফের গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে চলে আসে রাজুর গাড়ির পাশে। বারুদের ফোয়ারা ছোটায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনজন আততায়ী গাড়ি থেকে নেমেছিল। দু’জন গাড়ির সামনের দু’টি জানলা দিয়ে গুলি চালায়। এরপর চম্পট দেয় তারা। এই ঘটনা যখন ঘটে, সেই সময় নীল গাড়িটির পিছনে এমইউভি (Multi Utility Vehicle) ছিল। সেটিও গোয়েন্দাদের নজরে।
এমনও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গাড়িটি কলকাতার উত্তর শহরতলির এক বাসিন্দার নামে কেনা। ২০১৭ সালে কেনা হয়েছিল গাড়িটি। সেই গাড়িটি পরে রসুলপুর হয়ে মেমারির দিকে গিয়েছে বলে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই সন্দেহ পুলিশের চোখে ধুলো দিতে প্রথম গাড়ি অর্থাৎ নীল ব্যালানোতে এই খুনের জন্য আনা জিনিসপত্র রেখে পালায় দ্বিতীয় গাড়িতে। তবে সেটি এই MUV নাকি অন্য গাড়ি সঙ্গে ছিল তা তদন্তসাপেক্ষ।
শনিবার শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবের সামনে গুলি করে খুন করা হয় দুর্গাপুরের কয়লা কারবারি রাজু ঝাকে। এই ঘটনায় পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। গাড়িতে চালক ও রাজু ছাড়াও আরও দু’জন ছিলেন। একজন ব্রতীন মুখোপাধ্যায়, যিনি গুলিবিদ্ধ হন। বাঁ হাতে গুলি লাগে তাঁর। অন্যজন আব্দুল লতিফ (গাড়ির চালকের বয়ানে তেমনটাই দাবি)। এই লতিফকে আবার খুঁজছে সিবিআই, গরু পাচার মামলায় এনামুলের পরেই যাঁর নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজু খুনের মামলায় চারদিকে জট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। ঘনীভূত হচ্ছে আরও, আরও রহস্য।