মোটা টাকা গুনলে তবেই সৎকার, করোনা মৃতদের পরিবারের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

৫দিন বন্ধ ইলেকট্রিক চুল্লি। এদিকে বাড়ছে করোনায় মৃতদেহের সংখ্যা। এই সুযোগ বুঝে চড়া দাম দিতে হচ্ছে রোগী পরিজনদের। তবেই দাহ হচ্ছে দেহ। এমনই অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে।

মোটা টাকা গুনলে তবেই সৎকার, করোনা মৃতদের পরিবারের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 19, 2021 | 7:43 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: ৫দিন বন্ধ ইলেকট্রিক চুল্লি। এদিকে বাড়ছে করোনায় মৃতদেহের সংখ্যা। এই সুযোগ বুঝে চড়া দাম দিতে হচ্ছে রোগী পরিজনদের। তবেই দাহ হচ্ছে দেহ। এমনই অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে।

করোনায় মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে প্রবল হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পরিবারের লোকেদের। দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে বন্ধ তমলুক টাউনে অবস্থিত ইলেকট্রিক চুল্লি। করোনা সংক্রমিত মৃতদেহের শেষকৃত্যের জন্য জেলায় রয়েছে মোট দুটি ইলেকট্রিক চুল্লি। একটি কাঁথি এবং অপরটি তমলুকে। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর হাসপাতাল তমলুক থেকে যে করোনা মৃতদেহ বেরচ্ছে তাদের শেষকৃত্য হয় তমলুক টাউনের শ্মশানে। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে ইলেকট্রিক চুল্লি বন্ধ থাকায় ব্যাপকভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে মৃত পরিবারের লোকেদের।

যদিও চুল্লি বিকল হয়ে গেলে বিকল্প হিসেবে কাঠ দিয়ে পোড়ানোর ব্যবস্থাও রয়েছে তমলুক টাউনের এই শ্মশানে। কিন্তু করোনায় মৃত পরিজনদের অভিযোগ, কাঠ দিয়ে দেহ সৎকারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মোটা টাকা দাবি করছেন শ্মশানকর্মীরা। তাদের দাবি মতো টাকা না দিলে সৎকারের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ফলে তমলুক সহ জেলার একাধিক প্রান্তের মৃত পরিবারের লোকজন প্রবল সমস্যায় পড়ছেন।

এদিকে শ্মশান কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের অনেকের দাবি, যাঁরা ইলেকট্রিক চুল্লিতে কর্মরত তাঁরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করলেও করে থাকতে পারেন। অন্যদিকে ইলেকট্রিক চুল্লিতে সৎকারের দাযিত্বে থাকা কর্মীদের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই ইলেকট্রিক চুল্লি বন্ধ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাঁরা কোনও রকম অতিরিক্ত টাকা নেয় না। পুরসভা নির্ধারিত মূল্যেই মৃতদেহের সৎকার হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।

কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মৃতের পরিবার অভিযোগ করছেন তমলুক শ্মশানে কর্মীদের অতিরিক্ত টাকার চাপ আর একদিকে ইলেকট্রিক চুল্লি বন্ধ থাকায় নাজেহাল তাঁরা। করোনা-সহ অনান্য রোগে মৃত পরিবারের লোকজনেরা সুষ্ঠু সমাধান এবং ইলেকট্রিক চুল্লি দ্রুত সরানোর দাবিও তুলেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের জেরে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হল ৮১ বন্দিকে

এ বিষয়ে তমলুক পুরসভার মুখ্য প্রশাসক দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানান, দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের জন্য তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছেন।