Purbo Medinipur: ভরা কোটালে সুউচ্চ জলস্তর, নদী বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন, দুশ্চিন্তায় মহিষাদল
Mahisadal River Dam: নদী বাঁধের এই ভয়াবহ ভাঙনে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ভাঙন মেরামতের চেষ্টায় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে কাজ করতে থাকেন। গ্রামবাসীরা মাটির বস্তা ফেলে মেরামত করতে থাকেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে সেচ দফতর।

পূর্ব মেদিনীপুর: রূপনারায়ণ নদী বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন মহিষাদলের বাড় অমৃতবেড়িয়া গ্রামে! আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে মেরামতের কাজ। বৃহস্পতিবার রাত্রে প্রায় ১০০ ফুট বেশি কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা সহ রূপনারায়ণের নদী বাঁধ ধস নেমে নদী গর্ভে চলে যায়। নদী ভাঙনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।
নদী বাঁধের এই ভয়াবহ ভাঙনে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ভাঙন মেরামতের চেষ্টায় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে কাজ করতে থাকেন। গ্রামবাসীরা মাটির বস্তা ফেলে মেরামত করতে থাকেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে সেচ দফতর। ১০০ ফুট বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে চলে যায়, ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এমনটাই জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। রূপনারায়ণ নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরেই খবর দেওয়া হয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের।
ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তারপরেই দ্রুততার সঙ্গে প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই ভাঙনে রাতের ঘুম ছুটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।পরিদর্শনে যান জেলা শাসক,মহকুমা শাসক,বিডিও,সেচ দফতরের অধিকারিকরা।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরেরং জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, “এখানে রাত বারোটা নাগাদ প্রায় ৭০ ফুট জায়গা জুড়ে একটা ধস নামে। গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এখন কোটাল চলছে, ভরা কোটাল, ফলে গ্রামবাসীরা আরও ভয় পেয়ে যান। গ্রামের ভিতর জল ঢোকার মতো উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিডিও ও সেচ দফতরের সব আধিকারিক-কর্মীরা আসেন। কাল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে।”
তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু এখন ভরা কোটাল চলছে, তাই আপাতত আর পরিস্থিতি খারাপ না হয়, তার চেষ্টা চলছে। জলস্তর যখন নামবে, তখন নীচের কাজটা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বছরও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই জায়গাটা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সেচ দফতরের বিশেষজ্ঞ টিম আসছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
