Haldia Corruption Case: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য পুলিশ, স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ নেতা
Haldia Corruption Case: দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করবে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।

পূর্ব মেদিনীপুর : হলদিয়ার একটি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তই জারি রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছিল। রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার চলে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পুলিশ। কিন্তু, সোমবার পুলিশের সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা শ্যামল আদকের আবেদনের ভিত্তিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল থাকায় স্বস্তি পেলেন ওই বিজেপি নেতা। অবিলম্বে তদন্তের স্বার্থে সব নথি তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে সিবিআই।
শ্যামল আদকের করা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ
২০২১ সালের ১২ জুলাই ওই মামলা হয়। সেই সময় হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামল আদক। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর বিরুদ্ধেই সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ ছিল এই মামলায়। তদন্তে নেমে শ্যামল অনুগামী রাজীব পাল সহ দুজন কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই নড়েচড়ে বসেন শ্যামল বাবু। সঠিক তদন্তের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। হলদিয়া থানার তদন্তে সন্তুষ্ট হতে না পেরে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শ্যামল বাবু। সঠিক তদন্ত করতে হবে এমন আবেদন জানান হাইকোর্টে। পাশাপাশি রক্ষাকবচের দাবিও জানান তিনি। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পুলিশ।
কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই তদন্তে নামে সিবিআই। হলদিয়া থানার কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র চান আধিকারিকরা। শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেই শেখ মোবারক আলির সঙ্গে কথা বলতে হলদিয়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালপুকুর এলাকায় তাঁর বাড়িতে হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি। পরপর দু’দিন গিয়েও খোঁজ পাওয়া যায়নি মোবারকের। কার্যত তিনি বেপাত্তা।
ঠিক কী অভিযোগ?
অভিযোগ, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত হলদিয়া বন্দরে ২৫ কোটি টাকার কারচুপি হয়েছে। বন্দরে যে জাহাজ আসত, তাদের থেকে বেআইনিভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আসার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শ্যামল আদক এই দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন মোবারক আলি।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখতেই প্রয়োজনীয় নথি চেয়ে হলদিয়া আদালতে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। হলদিয়া থানার তরফে দ্রুত সব নথি যাতে সিবিআই-কে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে।





