AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Teacher’s Harassment: এবার শিক্ষককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

Panshkura: পরিবার সূত্রে খবর, বটকৃষ্ণবাবু একাধিক রোগে আক্রান্ত। তাঁর স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে আগেই। রয়েছ হাই ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার,কোলেস্টেরল। পরিবারের অভিযোগ,তাঁর অসুস্থতার কারণ দেখেও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিনের পর দিন তাঁকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করতেন। সেই হেনস্থার কারণে কয়েক বার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষবার অসুস্থতার কারণে তিনি ওড়িশা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন।

Teacher's Harassment: এবার শিক্ষককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
শিক্ষককে হেনস্থাImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2025 | 9:53 PM
Share

পাঁশকুড়া: পূর্ব মেদিনীপুরে পাঁশকুড়ায় সম্প্রতি হেনস্থার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। এবার এই জেলারই খেজুরিতে কর্মক্ষেত্রে দিনের পর দিন হেনস্থার শিকার প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক। আর এই ঘটনায় অভিযোগ উঠছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, ওসির নাম ভাঙিয়ে আক্রান্ত শিক্ষকের বাড়ির লোককে হুমকি দিচ্ছেন খেজুরি দু’নম্বর ব্লকের শিক্ষা কর্মাধক্ষ। যদিও, প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস তৃণমূলের।

জানা গিয়েছে, সাহেব নগর গ্রামেই রয়েছে সাহেব নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ে পড়ান বটকৃষ্ণ দাস ও অসীম মণ্ডল নামে দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অসীম প্রধান শিক্ষক। আর বটকৃষ্ণ দাস পার্শ্বশিক্ষক।

পরিবার সূত্রে খবর, বটকৃষ্ণবাবু একাধিক রোগে আক্রান্ত। তাঁর স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে আগেই। রয়েছ হাই ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার,কোলেস্টেরল। পরিবারের অভিযোগ,তাঁর অসুস্থতার কারণ দেখেও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিনের পর দিন তাঁকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করতেন। সেই হেনস্থার কারণে কয়েক বার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষবার অসুস্থতার কারণে তিনি ওড়িশা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। একটু সুস্থ হয়ে গত ২রা সেপ্টেম্বর তিনি যখন স্কুলে আসেন। অভিযোগ,তাঁকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয় প্রধান শিক্ষক অসীম মণ্ডল। এমনকী, মানসিক ভাবে নির্যাতন করেন। সেই চাপ এমন পর্যায়ে যায় যে অসুস্থ বটকৃষ্ণবাবু হাইপ্রেসারের কারণে তিনি রেগে গিয়ে গালাগালি করে ছিলেন বলে জানা যায়।

এরপর সেই ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন প্রধান শিক্ষক। তারপর মানসিক অবসাদে তিনি বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। তড়িঘড়ি তাঁকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিবারের অভিযোগ তারা থানায় এবিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এমনকী ওই এলাকার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বিজেপি নেতা রাজেন্দ্রনাথ ভূঁইয়া তাঁদের খেজুরী কোস্টাল থানার ওসির নাম করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেন বলেই দাবি পরিবারের। এ প্রসঙ্গে শিক্ষকের মেয়ে সুচিস্মিতা দাস বলেন, “আমার বাবা শিক্ষক। উনি একাধিক রোগে আক্রান্ত। বাবা যখন ডাক্তার দেখিয়ে ফের স্কুলে যায় তখন নানা ভাবে হেনস্থা করে। অ্যাটেনডেন্স খাতা লুকিয়ে রাখে। বাবা জানতে চাইলে কোনও উত্তর দেয় না।”

যদিও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রাজেন্দ্রনাথ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ওই স্কুলের দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রায় সময় ঝামেলা হয়। বেশ কয়েকবার তিনি নিজের দায়িত্বে ঝামেলা মিটিয়েছেন। এই ঝামেলার বিষয় তাঁর কাছে খবর আছে। তিনি শুধু ওসির সঙ্গে কথা বলেছিলেন,আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে দুই শিক্ষকের ঝামেলা বসে মিটয়ে দেওয়ার।

খেজুরি দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সমুদ্ভব দাস বলেন, “খেজুরী দুই নম্বর ব্লকের যবে থেকে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি পেয়েছে। তারা সাধারণ মানুষের কোনওদিন পাশে দাঁড়ায় না। ওই পরিবারে যদি কোনও সাহায্য প্রয়োজন হয় আমি সাহায্য করবেন।”

যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক, যাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ সেই প্রধান শিক্ষক অসীম মণ্ডল সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। উল্টে সম্পূর্ণ দোষ আক্রান্ত পার্শ্বশিক্ষক বটকৃষ্ণ দাসের উপরে চাপিয়ে তিনি বলেন, “আমি ওঁর সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করিনি। উল্টে উনি আমাকে বাজে কথা বলেছেন। সেই সব ভিডিয়োর তথ্য আমার কাছে রয়েছে। ওঁর পরিবার ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।” এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তালপাটি কোস্টাল থানায়।