VIDEO: পটাশপুরে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার, বাড়ির ভিতর থেকে মেয়ে-বউয়ের আর্তনাদ শুনে ধেয়ে গেল আরেকজন
Purba Medinipur: পটাশপুর-২ ব্লকের সাউথখণ্ড গ্রাম। কেলেঘাই নদী পার বরাবর এই গ্রাম। সেই গ্রামে যারা বিজেপি করে, তাঁদের খুঁজে খুঁজে মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পটাশপুর-২ ব্লকের সাউথখণ্ড গ্রাম। সেই গ্রামে যারা বিজেপি করে, তাঁদের খুঁজে খুঁজে মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের ১৫ থেকে ২০ জনের বাইকবাহিনী গিয়ে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। বাড়ি থেকে বের করে এনে মারা হয়েছে। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অসীম মিশ্রের দাবি, যাঁরা এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী, তাঁদের বেছে বেছে মারধর করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর চিত্ত মাজি নামে ৫২ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়ের খোঁজ নেই। আহত হয়েছেন, গৌতম পাত্র, শিব প্রাসাদ মণ্ডল, জন্মেজয় পাত্র, প্রণব দাস। এদের কারও বাড়ি ঘঙ্গায়, কেউ মল্লিকপুরের বাসিন্দা, কারও বাড়ি গোপালপুরে।
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “বুঝে গিয়েছে মানুষের ভোটে ওদের জয় হবে না। তাই পটাশপুরে তৃণমূল আর পুলিশ যৌথভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণে নেমেছে। সাউথখণ্ডে আমাদের রবিবার সম্মেলন ছিল। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে চারজন বিজেপি কর্মীকে চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়। নৃশংসভাবে মেরেছে। তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে গিয়েছে, একজনের খোঁজ নেই। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। বুথ সভাপতি প্রণব দাসের বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। ভিডিয়ো দেখলে বুঝবেন। এসব তো সভ্য সমাজের লজ্জা।”
এ বিষয়ে পটাশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজু কুণ্ডু বলেন, “রবিবার বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছিল। এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ এলে তদন্ত এগোবে সেইমতো।” সাউথখণ্ড গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের বিজনবন্ধু বাগ বলেন, “সাউথখণ্ডে সিপিএমের পার্টি অফিসে বিজেপির কোনও একটা সম্মেলন হয়েছিল শুনেছি। বাবলু মাজি তৃণমূল করত, গত বিধানসভায় বিজেপিতে যায়। ও বেশ কয়েকজনের বাড়িও ভেঙেছিল। আমরা বিধানসভায় ক্ষমতায় আসার পর বাড়ি ছেড়ে ওড়িশায় চলে যায়। আমরা তাঁর স্ত্রীকে পরে বলি উনি ফিরে আসুন। এখানে থাকুন। তারপর শুনলাম বিজেপির সম্মেলনে রবিবার এসেছিল। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা ঘেরাও করে। এখন অপপ্রচার করছে।”