Bhangar: ভোট মিটতেই ভাঙড়ে শুরু ধরপাকড়, তুলে নিয়ে যাওয়া হল চার হেভিওয়েট নেতাকে
Bhangar: উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। চণ্ডীহাট গ্রামের বাসিন্দা ইছা মোল্লা ও বারব আলির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের বুধবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক প্রত্যেকের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ভাঙড়: নিজেদের গড়ে ভাল ফল করতে পারেনি আইএসএফ। এবার ভোট পরবর্তী হিংসায় সেই ভাঙড়েই গ্রেফতার চার হেভিওয়েট আইএসএফ নেতা। ধৃতদের নাম ওহিদুল ইসলাম, কারিমুল ইসলাম, ইছা মোল্লা ও বাবর আলি। ওহিদুল কাটাডাঙা গ্রামের বাসিন্দা, তিনি ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। কারিমুল চালতাবেড়িয়া এলাকার দাপুটে নেতা। গণনার ঠিক আগের রাতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভাঙড়। পাঁচ জন ঝলসে যান। পঞ্চায়েত সদস্য আজহারউদ্দিন সহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের শরীরের অর্ধেকাংশ ঝলসে গিয়েছে। বর্তমানে তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সেই ঘটনায় কারিমুল ও ওহিদুল জড়িত এমনটা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। চণ্ডীহাট গ্রামের বাসিন্দা ইছা মোল্লা ও বারব আলির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের বুধবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক প্রত্যেকের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ভাঙড়ের মাটি আইএসএফের শক্ত গড় হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু এবারে সেখানেই আইএসএফ ভাল ফল করতে পারেননি। কাজ করে গিয়েছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার স্ট্র্যাটেজি। নির্বাচন আবহেও বারবার তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। ভোট মিটতেই ভাঙড়ে শুরু ধরপাকড়।