Crime News: দাদুর এফডিতে নজর ছিল নাতনি-নাতজামাইয়ের, সোনারপুরে বৃদ্ধা খুনে হাড়হিম করা রহস্য ফাঁস
Sonarpur: শনিবার সোনারপুর থানা এলাকার জগদ্দলে এক বৃদ্ধা ও এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। বাড়িরই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় গঙ্গারানি দাস (৭৫) ও তাঁর নাতি মানসরঞ্জন দাস ওরফে বিট্টুর (২৫) দেহ। সেই ঘটনায় রাতেই পুলিশ ধরে নিয়ে যায় গঙ্গারানির মেয়ের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও নাতজামাই সুশান্তকে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দিদিমা ও মামাতো ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে কৃতকর্মের কথা স্বীকারও করেছেন ধৃত সুস্মিতা দাস ও সুশান্ত দাস। সোনারপুরে দিদিমা ও ভাইকে খুনে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পত্তির লোভ এই ঘটনার নেপথ্যে যেমন রয়েছে, তেমনই বাড়ি থেকে বিয়ে না মানার কারণও রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। জানা গিয়েছে, স্বামী, স্ত্রী দু’জনে মিলেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পুলিশের জেরায় স্বীকারও করেছেন। ধৃতদের রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
শনিবার সোনারপুর থানা এলাকার জগদ্দলে এক বৃদ্ধা ও এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। বাড়িরই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় গঙ্গারানি দাস (৭৫) ও তাঁর নাতি মানসরঞ্জন দাস ওরফে বিট্টুর (২৫) দেহ। সেই ঘটনায় রাতেই পুলিশ ধরে নিয়ে যায় গঙ্গারানির মেয়ের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও নাতজামাই সুশান্তকে। গঙ্গারানির নাতি বিট্টু বিশেষভাবে সক্ষম যুবক। গঙ্গারানির ছেলে, বৌমা মারা গিয়েছেন আগেই। নাতি থাকত ঠাকুমা দাদুর কাছেই।
এদিকে জগদ্দলের বাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরেই থাকছিলেন গঙ্গারানির মেয়ের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও জামাই সুশান্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, সুশান্ত ও প্রিয়াঙ্কার বিয়ে দুই বাড়িই মেনে নেয়নি। তবে দিদিমা তাঁদের ঠাঁই দেন। তবে দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ায় দিদার বাড়িতে থাকা নিয়ে নাতনি, নাতজামাইয়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হত বলে অভিযোগ।
এমনকী গঙ্গারানি এ নিয়ে সোনারপুর থানায় একাধিকবার অভিযোগও দায়ের করেন। নাতনির তা নিয়েও দিদিমার উপর রাগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রিয়াঙ্কার স্বামী সুশান্ত নেশাগ্রস্ত, কোনও কাজই করেন না বলে অভিযোগ। গঙ্গারানির স্বামী পান্নালাল দাসের এফডির টাকার সুদে সংসার চলত। সেই টাকার লোভেই দিদিমা ও অসুস্থ ভাইকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু কীভাবে গোটা ঘটনা ঘটল? পুলিশ সূত্রে খবর, গঙ্গারানিকে ছাদে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ির বাড়ি মারা হয় মাথায়। বিজয়া দশমীর দু’দিন পর এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, সেইদিনই বিট্টুকেও শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরদিন দুপুরবেলা স্বামী-স্ত্রী দেহ দু’টি সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। মাসখানেক ধরে নানাভাবে লোকজনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাখছিলেন। তবে সম্প্রতি সেপটিক ট্যাঙ্কের সামনে ঢালাই দেখে সন্দেহের উদ্রেক হয়। এরপরই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।