Canning TMC ISF: লুকিয়ে গিয়েছিলেন নওসাদ সিদ্দিকির সভায়, বাড়ি ফিরতেই ব্যাপক ‘বোমাবাজি’! ফের উত্তপ্ত ক্যানিং
Canning TMC ISF: অভিযোগ, সেই কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথেই আক্রান্ত হন। রাতে তৃণমূলের লোকজন আইএসএফ নেতা রসিদ জমাদারের বাড়িতে আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ।
ক্যানিং: তৃণমূল ছেড়ে আইএসএফ-এর সভায় যোগ! আর সেই রাতেই ব্যাপক বোমাবাজির গ্রাম জুড়ে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। আইএসএফ-এর সভা সেরে ফেরার সময়েই তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা গ্রামে বেপরোয়া বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার গড় খালি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের তালদিতে বুধবার আইএসএফের কর্মিসভা ছিল। সেখানে নওশাদ সিদ্দিক প্রধান বক্তা হিসাবে গিয়েছিলেন। আইএসএফ-এর দাবি, এই সভাতে তৃণমূল ছেড়ে অনেকেই আইএসএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথেই আক্রান্ত হন। রাতে তৃণমূলের লোকজন আইএসএফ নেতা রসিদ জমাদারের বাড়িতে আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। সেখানে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ আই এসএফ নেতৃত্বের।
উল্টোদিকে এলাকার তৃণমূল নেতা রহমান জমাদারের অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। উল্টে আইএসএফ তৃণমূলকে ভয় দেখাতে এলাকায় বোমাবাজি করেছে। ক্যানিং পুলিশ এই বোমাবাজির ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
আইএসএফ নেতা রশিদ জমাদার বলেন, “আমি নওসাদ সিদ্দিকিকে ভালবাসি। ওঁর নীতি আদর্শে ভালবাসি। তাই লুকিয়ে মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। রাতেই আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে বোমাবাজি করে। ওরা হুমকি দিয়ে যায়। ওরা সব তৃণমূলের প্রভাবশালী ব্যক্তি।” তৃণমূল নেতা রহমান জমাদার, “এখানে আইএসএফ-টা দেখে রশিদ। ও হুমকি দেয়, মিটিংয়ে যেতে হবে, নাহলে বাড়িতে থাকতে দেব না। ওই কালকে ছেলে নিয়ে এখানে চার-পাঁচটা বোমা মারে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। এখানে কয়েক জন তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছে।” এই ঘটনা এলাকা ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং থানার পুলিশ।