Civic Volunteer: থানার সিভিক ভলান্টিয়ার! মারাত্মক অভিযোগে পুলিশের হাতেই গ্রেফতার
Bhangar: বৃহস্পতিবার নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয় ফিরোজ মিদ্যাকে। পুলিশ জানিয়েছে, রহমত মোল্লা নামে এক ব্য়বসায়ীকে অপহরণ করেন ফিরোজ। এরপরই রহমতের স্ত্রী রশিদা বিবি কাশীপুর থানায় ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। দু'দিনের মধ্যে রহমতকে উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেফতারও করা হয় মূল অভিযুক্তকে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। যদিও পরে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। তবে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ওই সিভিক কর্মীকে। বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম ফিরোজ মিদ্যা। তিনি কাশীপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। ভাঙড় থানার পুলিশ ধৃতকে জেরা করে নতুন কোনও তথ্যের খোঁজে।
বৃহস্পতিবার নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয় ফিরোজ মিদ্যাকে। পুলিশ জানিয়েছে, রহমত মোল্লা নামে এক ব্য়বসায়ীকে অপহরণ করেন ফিরোজ। এরপরই রহমতের স্ত্রী রশিদা বিবি কাশীপুর থানায় ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। দু’দিনের মধ্যে রহমতকে উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেফতারও করা হয় মূল অভিযুক্তকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাঙড় থানার শাঁকশহর এলাকার বাসিন্দা রহমত মোল্লার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল ফিরোজের। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার ফিরোজ ও তাঁর সাগরেদরা পুলিশের পরিচয় দিয়ে রহমতকে ভাঙড় থানার বালিগাদা এলাকায় ডাকেন। রহমত সেখানে আসতেই ফিরোজ-সহ অন্যরা তাঁর মুখ চাপা দিয়ে গাড়িতে তুলে নিউটাউন এলাকায় নিয়ে যান।
এরপরই ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। অপহরণকারীরা প্রথমে ৫০ লক্ষ টাকাও দাবি করেন। পরে দর কষাকষিতে তা ১০ লক্ষে নামে। এই দরাদরির মাঝেই রশিদা বিবি ভাঙড় থানায় অভিযোগ জানান। নানা সূত্র মারফত খবর পেয়ে নিউটাউন এলাকা থেকে রহমতকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে গ্রেফতারও করা হয় ফিরোজকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশের স্টিকার লাগানো চারচাকা গাড়ি করে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। এমনকী অভিযোগ, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের আওতায় ভাঙড় থানা আসার পরই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের জন্য ফর্ম পর্যন্ত ছাপান। যদিও সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ বলে মনে করছে পুলিশ।