Group C Scam: চাকরি হারানোর তালিকায় তৃণমূল বিধায়কের ছেলে, ‘ফাঁকা’ বাড়িতে সাড়া দিল না কেউ
Group C: অমিত সাহার পর এবার চাকরি বাতিল হল মন্দিরবাজারের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদারের ছেলে সুদীপ হালদারের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভিতর থেকে বন্ধ বাড়ির সদর দরজা। অনেক ডাকাডাকির পরও মেলেনি সাড়া-শব্দ। বাধ্য হয়েই বেরিয়ে এলেন টিভি ৯ বাংলার সাংবাদিক। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল নেতা (TMC Leader) অমিত সাহার পর এবার চাকরি বাতিল হল মন্দিরবাজারের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদারের ছেলে সুদীপ হালদারের। তারপর থেকেই দু’জনের সঙ্গেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল হয়। এই তালিকায় ৬৮৪ নম্বরে নাম রয়েছে সুদীপবাবুর। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে তিনি মন্দিরবাজারের মৌরলতলা শীতলা বালিকা বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। তবে চলতি মাসের (মার্চ) ২ তারিখের পর থেকে তিনি আর স্কুলে যাননি।
আজ মন্দিরবাজারের ধান্যকাটা গ্রামে বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছায় টিভি ৯ বাংলা। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল বাড়ির প্রধান দরজা। ডাকাডাকি করার পরও পরিবারের কারোর কোনও সাড়া মেলেনি। ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, মন্দিরবাজারে তৃণমূল কার্যালয়েও সকাল থেকে আসেননি বিধায়ক জয়দেব হালদার। এ দিকে, দলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়কের ছেলের চাকরি চলে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মুখে কুলুপ দলের লোকজনেরও। অপরদিকে, সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের কর্মকর্তারাও একপ্রকার গা ঢাকা দিয়েছেন।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সাধনা হালদার জানান, “সুদীপ ২০১৮ সাল থেকে এই স্কুলে ক্লার্কপদে কর্মরত ছিলেন। গতকাল আমরা জেনেছি বিষয়টি। তবে বোর্ডের তরফে কোনA নির্দেশিকা এখনও আসেনি। এই ঘটনায় স্কুলের নাম জড়ানোয় অস্বস্তি হচ্ছে।”
বিজেপি ও সিপিএমের পক্ষ থেকে নিয়োগ-দুর্নীতিতে শাসক দলের যোগ স্পষ্ট বলে তোপ দেগেছেন। সিপিএম নেতা বলেন, “জয়দেববাবুর বড় ছেলে চাকরি অনৈতিকভাবে হয়েছে। সেই কারণে ওর চাকরি চলে গেল। এই মন্ত্রী বলেই নয়। রাজ্যের সর্বত্র তৃণমূল নেতারা এই দুর্নীতি করে চাকরিগুলো পেয়েছেন। সর্বত্র যাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের চাকরি এখন চলে যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, শালবনীর বিধায়ক তথা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতোরও চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে।বিরোধীদের অভিযোগ, পড়াশোনায় মোটেই ভাল ছিলেন না তিনি। টেনেটুনে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশটুকু করেছেন। মন্ত্রীর হাত ছিল ভাইয়ের মাথায়। সেই কারণেই চাকরি হয়েছে তাঁর।