Namkhana Physical Assault Case: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নামখানা গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভাসুর-সহ ২ গ্রেফতার
Namkhana Physical Assault Case: হাঁসখালি, রায়গঞ্জের পর কাকদ্বীপে বছর চল্লিশের এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এমনকি তাঁকে অ্যাসিড ছু়ড়ে পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নামখানা গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত দুজনকে আজ কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনায় নির্যাতিতার ভাসুর অমল খাটুয়া ও তার বেয়াই কার্তিক মাইতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে আজ নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য মহিলা সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল। সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিপিএমের মহিলা সমিতির সদস্যরাও আজ হাসপাতালে এসে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন।
হাঁসখালি, রায়গঞ্জের পর কাকদ্বীপে বছর চল্লিশের এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এমনকি তাঁকে অ্যাসিড ছু়ড়ে পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ঘরে কোনওভাবে ঢুকে গিয়েছিলেন অভিযুক্তরা তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে শৌচাগারে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে তিন জন পিছন থেকে চেপে ধরেন। ঘরে তাঁকে টেনে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে চিনে ফেলায় তাঁকে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয় বলে অভিযোগ।
প্রথমে ওই নিগৃহীতা পরিবারের সদস্যদের কিছু বলেননি। লজ্জায় বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তকে চোখের সামনে ঘুরতে দেখে, আর সহ্য করতে পারছিলেন না। প্রথমে স্বামীকে বিষয়টি জানান। তারপর তাঁরা থানার দ্বারস্থ হন।
নিগৃহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গণধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা, সেটা অভিযুক্তদের থেকে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Namkhana Physical Assault Case: ফের গণধর্ষণের অভিযোগ, নির্যাতিতার গায়ে ঢালা হল কেরোসিন তেল