Narendrapur: টিচার্স রুমে ঢুকে কিল-লাথি শিক্ষককে, নরেন্দ্রপুরে স্কুলে ‘গুন্ডাগিরি’
Narendrapur: শিবনাথ ঠাকুর নামে আক্রান্ত এক শিক্ষক বলেন, "আমি ক্লাস নাইন-বিতে ফিজিক্স পড়াচ্ছিলাম। বাইরে খুব চিৎকার শুনতে পাই। দেখি পিলপিল করে লোক ঢুকছে। অকথ্য গালাগাল করছে। এরপর দেখি স্টাফ রুমে ২০-৩০ জন লোক ঢুকে গিয়েছে। আমাকে দেখতে পেয়ে খুব মারল। তবে একটা কথা বলতে পারি হেড স্যরের দুর্নীতিগুলি জেনে গিয়েছি।"
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের বেধড়ক মারধর। কিল চড় ঘুষির পাশাপাশি মাটিতে ফেলে জুতো দিয়ে মার, এমনকী হেলমেট দিয়েও মারা হয় বলে অভিযোগ। নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে শনিবার এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। যদিও প্রধান শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব শিক্ষা দফতরের। কাউকে ছাড়া হবে না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিবনাথ ঠাকুর নামে আক্রান্ত এক শিক্ষক বলেন, “আমি ক্লাস নাইন-বিতে ফিজিক্স পড়াচ্ছিলাম। বাইরে খুব চিৎকার শুনতে পাই। দেখি পিলপিল করে লোক ঢুকছে। অকথ্য গালাগাল করছে। এরপর দেখি স্টাফ রুমে ২০-৩০ জন লোক ঢুকে গিয়েছে। আমাকে দেখতে পেয়ে খুব মারল। তবে একটা কথা বলতে পারি হেড স্যরের দুর্নীতিগুলি জেনে গিয়েছি। তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। সেই কেস তুলে নেওয়ার জন্য দিনের পর দিন আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির পাশাপাশি মারধরের হুমকিও দিয়েছিল। আজ মারা হল।”
এই ঘটনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন এক শিক্ষিকা। বলেন, স্কুলে অনেকেই প্রধান শিক্ষকের খাস লোক আছেন। এই হামলায় তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি। যদিও এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এরা দীর্ঘকাল স্কুলে একটা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। তা আমি কঠিন হাতে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। স্কুলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কিছু আমরা কেন করব?”