Bengal BJP: মরিচঝাঁপিতে অগ্নিমিত্রার সঙ্গে দুই মতুয়া বিধায়ক! শান্তনুকে রুখতেই পাল্টা কৌশল?

Agnimitra Paul: 'বিক্ষুব্ধ নাকি বিক্ষুব্ধ নন সেটা তো পুরোপুরি আমাদের পরিবারের ব্যাপার। এত বড় একটা পার্টি, সেখানে কিছু মতান্তর তো থাকতেই পারে', মত অগ্নিমিত্রা পালের

Bengal BJP: মরিচঝাঁপিতে অগ্নিমিত্রার সঙ্গে দুই মতুয়া বিধায়ক! শান্তনুকে রুখতেই পাল্টা কৌশল?
মরিচঝাঁপির পথে বিজেপির প্রতিনিধিরা। ছবি ফেসবুক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2022 | 3:18 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শান্তনু ঠাকুরকে (Shantanu Thakur) রুখতে পাল্টা কৌশল বঙ্গ বিজেপি (BJP) শিবিরের। সোমবার ‘মরিচঝাঁপি চলো’ অভিযানে অগ্নিমিত্রা পালের (Agnimitra Paul) সঙ্গে দেখা গেল শান্তনু-ঘনিষ্ঠ দুই মতুয়া বিধায়ককে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন অশোক কীর্তনিয়া ও অম্বিকা রায়। বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার যে হিড়িক তাতেও নাম ছিল অশোক কীর্তনিয়া ও অম্বিকা রায়ের। যদিও অম্বিকা পরে জানান, ভুলবশত তিনি গ্রুপ ‘লেফট’ করেছেন। তবে অশোক কীর্তনিয়া কিন্তু ‘বিদ্রোহী’দের নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের পিকনিকেও হাজির ছিলেন। এই দুই বিধায়কের মরিচঝাঁপির মতো কর্মসূচিতে যোগদান নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারও কারও মতে, শান্তনু ঠাকুরকে চাপে রাখতেই কি এই কৌশল বঙ্গ বিজেপির?

যদিও অম্বিকা রায়রা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তাঁরা দলের সমস্ত কর্মসূচিতে থাকবেন। তবে বিক্ষুব্ধদের পিকনিকে অশোক কীর্তনিয়া কেন গিয়েছিলেন? সে প্রশ্নের জবাবে, অশোক কীর্তনিয়ার যুক্তি, তাঁরই এলাকায় পিকনিক হয়েছিল, তাঁর আমন্ত্রণও ছিল। তাই তিনি সেখানে গিয়েছেন। অন্যদিকে অম্বিকা রায় দাবি করছেন, তাঁর কোনও পদ পাওয়ার বিষয় ছিল না। ভুলবশত কে কে কর্মকর্তা তা বুঝতে না পেরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সে ‘ভুল’ শুধরেও নেন অম্বিকা। মরিচঝাঁপি চলোর মতো বিজেপি যে কর্মসূচি নিয়েছে, তাতে অংশ নিতে পেরে দুই বিধায়কই খুশি বলে জানান।

অশোক কীর্তনিয়া এদিন বলেন, “পার্টির কার্যক্রমে সবসময়ই জড়িয়ে ছিলাম, জড়িয়ে আছি। পিকনিকের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার এলাকায় আমার পাশের বিধানসভা এলাকায় একটা পিকনিক হচ্ছে। সেখানে কেউ যদি আমাকে ডাকে, আমার তো অবশ্যই যাওয়া উচিৎ। সেই জন্যই পিকনিকে গিয়েছিলাম। ভুললে চলবে না, মতুয়াদের সমস্যা সমাধান করতে পারে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি।”

অন্যদিকে অম্বিকা রায় বলেন, “আমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়েছিলাম মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য। গ্রুপ থেকে বেরোনোটা পুরোপুরিই ভুলবশত। একটা সিলি মিসটেক। আমি বুঝে উঠতে পারিনি। কমিটিতে কে কে থাকবেন, কে না থাকবেন তার জন্য ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়া এমন ভাবার কোনও কারণই নেই। আমি কখনও রাজ্য বা জেলার সাংগঠনিক পদে থাকব, এমন ইচ্ছাও ছিল না। শান্তনু ঠাকুরের কাছে কয়েকজন বলেছিলেন, মতুয়াদের ব্যাপারটা দেখা হয়নি। উনি যেন দেখেন। তাই শান্তনু ঠাকুরও ইস্যুটা তুলেছিলেন। কিন্তু সেটা নিয়ে বঙ্গ বিজেপিকে যেভাবে দেখানো হচ্ছে সেটা ঠিক নয়।”

বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের কথায়, “মরিচঝাঁপির যে ইস্যু, এই যে উদ্বাস্তুদের মারা হয়েছে মতুয়ারা এই ইস্যুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই জন্য তাঁদের বলা হয়েছে। অম্বিকাদার তো কোনও সমস্যা নেই। অশোকদার কিছু ইস্যু থাকতে পারে। আজকে স্বপন মজুমদারেরও আসার কথা ছিল। একটা অনুষ্ঠানের জন্য আসতে পারেননি। যারা যারা এই ইস্যুটার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তাঁদের আমি ফোন করে বলেছি আজ এই কর্মসূচিতে আসতে। বিক্ষুব্ধ নাকি বিক্ষুব্ধ নন সেটা তো পুরোপুরি আমাদের পরিবারের ব্যাপার। এত বড় একটা পার্টি, সেখানে কিছু মতান্তর তো থাকতেই পারে। সেটা শীর্ষ নেতৃত্ব দেখবে। এটার সঙ্গে ওটার কোনও সম্পর্কই নেই।”

আরও পড়ুন: Governor Jagdeep Dhankhar: ‘বাংলার রাজ্যপালকে সরিয়ে নিন’, সংসদেই রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের