Canning Murder: ক্যানিং হত্যাকাণ্ডে ধৃত রফিকুলকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ তদন্তকারীদের
Canning: ক্যানিং হত্যাকাণ্ড। মাঠের মাঝখানে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট তিনজনকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের ঘটনা তোলপাড় করে দেয় রাজ্য রাজনীতি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিনজনকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিকুল আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার ঘটনাস্থলে ধৃতকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করলেন তদন্তকারীরা। বুধবার ক্যানিং থানার একটি বিশেষ দল রফিকুলকে নিয়ে যায় গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেই বিভীষিকাময় ঘটনাস্থলে। সকাল থেকেই তাই গোটা এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। কার্যত মাছি গলার উপায় রাখা হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। পুননির্মাণে তদন্তে আরও নতুন কিছু দিক খুলবে বলে অনুমান আধিকারিকদের।
ক্যানিং হত্যাকাণ্ড। মাঠের মাঝখানে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট তিনজনকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের ঘটনা তোলপাড় করে দেয় রাজ্য রাজনীতি। অপারেশন শেষ করে কেরল পালিয়ে গিয়েছিল মূল অভিযুক্ত রফিকুল। আপাতত পুলিশের তৎপরতায় সে গারদবন্দী।
কী ঘটেছিল সেদিন?
ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৭ জুলাই ঘটে নৃশংস ঘটনা। ২১ জুলাই উপলক্ষে তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভার প্রস্তুতি চলছিল সেই দিন। ধর্মতলা গ্রাম থেকে বাইকে চেপে হেড়োভাঙা বাজারে দলীয় কার্যালয় আসছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তথা যুবনেতা স্বপন মাঝি। সেই সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলেরই দুই কর্মী ভূতনাথ প্রামাণিক ও ঝন্টু হালদার। অভিযোগ, ধর্মতলার কাছে পিয়ারের পার্ক এলাকাতে তাদের পথ আটকায় ওই এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত রফিকুল সর্দার ও তার দলবল।
এরপর স্বপন ও তার দুই অনুচরকে বাইক থেকে নামিয়ে গুলি করে বলে অভিযোগ। পরে নৃশংসতার চরম মাত্রা ছাড়িয়ে যায় রফিকুলরা। সম্পূর্ণ নিষ্প্রাণ করতে তিনজনকে একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে লাগাতার কোপানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভয়াবহতা অনেক শক্ত মনকেও কাঁপিয়ে দিয়েছিল সেই দিন। পুলিশ তদন্তে নেমে জয়নগর ও ক্যানিং এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে। যদিও তদন্তকারীদের নাগালে আসছিল না মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার। তাই তার গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করেন তদন্তকারীরা।
জানা যায় কেরলের কেঝিকোডে আশ্রয় নিয়েছে অভিযুক্ত। এরপর ক্যানিং থানার আধিকারিক রঞ্জিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন ৫ পুলিশকর্মীর একটি দল রওনা দেন সৈকত রাজ্যের দিকে। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, স্থানীয় একটি জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়ে রংমিস্ত্রির কাজ করছে সে। থাকছিল বাসন্তী ও জয়নগরের এলাকার বেশ কিছু শ্রমিকের সঙ্গে। চেহারার আদল বদলাতে রাখতে শুরু করেছে দাড়িও। বেশ কিছুদিন আড়ি পাতার পর গোটা ফন্দি কার্যত জলবৎ-তরলং হয়ে যায় পুলিশকর্তাদের কাছে। এ
রপর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকাই একটি বস্তিতে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় ক্যানিং হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রফিকুলকে। সঙ্গ দেয় কেরল পুলিশও। এরপর জীতকে তোলা হয় কোঝিকোডে আদালতে। ট্রানজিট রিমান্ডে পাওয়ার পর সোমবার তাকে ক্যানিং এনে ঘটনার পুনঃনির্মাণ শুরু করেন তদন্তকারীরা। আপাতত ঘটনার বাকি তথ্যের সন্ধান চালাচ্ছেন তাঁরা।