‘সতর্কবাণী’ কানে পৌঁছয়নি, দলের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ তৃণমূলের
TMC:মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, অন্য দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেই যদি দলত্যাগের নির্দেশ দেয় তৃণমূল, তাহলে বুঝতে হবে তারা আস্থাহীনতায় ভুগছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমশই তৃণমূলে (TMC) ভারি হয়েছে যোগদানের পাল্লা। কিন্তু, সেই যোগদান পর্বে ‘যাকে-তাকে’ দলে নিচ্ছে না শাসক শিবির। নানারকম কাটাছেড়া করেই মিলছে দলে প্রবেশের অনুমতি। অন্যদিকে, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সুবিদিত। দলীয়দ্বন্দ্ব মেটাতেও নির্বাচন আবহেই বুথস্তরে কড়া নজর ছিল রাজ্য নেতৃত্বের। এ বার দলবিরোধী কাজের অভিযোগে একযোগে পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতির চার সদস্যকে দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পাথরপ্রতিমার তৃণমূল(TMC) বিধায়ক সমীর জানা জানান, দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ চার নেতাকে দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হচ্ছে। সেই তালিকায় আছেন, পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অপূর্ব দাস, ব্রজবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েতের সঞ্চালক খোকন দাস, দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্লক নর্থ সার্কেলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক স্বপন গিরি, এবং এসএসকের সভানেত্রী গীতা গিরি। অভিযোগ, এঁরা সকলেই নির্বাচনের সময় থেকেই বিরোধী দলের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ বজায় রেখে চলছিলেন। এমনকী, নির্বাচন আবহে দলের কোনও কাজে তাঁদের দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ। বুধবার, রামগঙ্গার তৃণমূল কার্যালয়ে একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।
এদিন, বিধায়ক আরও বলেন, “নির্বাচনের সময় থেকেই ওঁদের উপর নজর রাখা হচ্ছিল। বারবার সতর্ক করা হয়েছিল দলের তরফে। এমনকী, বৈঠক ডেকেও কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। দলের সতর্কবাণী কানে নেননি তাঁঁরা। তাই দলও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” যদিও, এই ঘটনায় বহিষ্কৃতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, অন্য দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেই যদি দলত্যাগের নির্দেশ দেয় তৃণমূল, তাহলে বুঝতে হবে তারা আস্থাহীনতায় ভুগছে। যদিও, এই সম্পূর্ণই তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ বিষয়।
আরও পড়ুন: Rakhal Bera:আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা, খোঁজ চলছে চঞ্চলের





