Baruipur: গোপনে নেশা ছাড়ানোর নামে নগ্ন করে বেঁধে যা চলছিল ওই বাড়িতে, গোপন ভিডিয়ো সামনে আসতেই…
Baruipur: যে বাড়িতে কেন্দ্রটি চলে, সেই বাড়ির মালিক শিবপ্রসাদ সাহা থানায় কাগজ জমা দিয়েছেন। বাড়ির মালিকের সাফাই, ১১ মাস আগে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল পার্থ চক্রবর্তীকে।
বারুইপুর: ভাড়াবাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল নেশামুক্তি কেন্দ্র। সন্ধান পেয়ে এলাকার অনেকেই সুস্থ করার জন্য নিয়ে যেতেন বাড়ির সদস্যকে। বারুইপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড পুরাতন বাজার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র। যিনি ওই কেন্দ্র চালাতেন তাঁর নাম পার্থ চক্রবর্তী। বাড়ি ভাড়া নিয়ে ১১ মাস ধরে তিনি চালাচ্ছিলেন ওই কেন্দ্র। কিন্তু সেই নেশামুক্তি কেন্দ্রেই উঠল এক বিস্ফোরক অভিযোগ। ভিতরে কী চলছে, তা জানতেন না অনেকেই। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে পৌঁছে যায় এক গোপন ভিডিয়ো। আর সেই ভিডিয়ো দেখেই তড়িঘড়ি পৌঁছে যায় পুলিশ।
এক নাবালককে নৃশংসভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই কেন্দ্রে। অভিযোগ, জানালায় গামছা দিয়ে উল্টো করে বেঁধে নগ্ন করে মারা হয়েছে ১৪ বছরের এক নাবালককে। বেধড়ক মারধরের সেই ভিডিয়ো পুলিশের হাতে পৌঁছে যেতেই তৎপর হয় বারুইপুর থানার পুলিশ। ওই নাবালককে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ সত্ত্বঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যিনি কেন্দ্রটি চালাতেন, পার্থ চক্রবর্তী নামে সেই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্ত ভাড়াটিয়ার নাম পার্থ চক্রবর্তী। মাত্র ২৬ দিন আগে ওই নাবালককে ভর্তি করা হয়েছিল ওই কেন্দ্রে। যে বাড়িতে কেন্দ্রটি চলে, সেই বাড়ির মালিক শিবপ্রসাদ সাহা থানায় কাগজ জমা দিয়েছেন। বাড়ির মালিকের সাফাই, ১১ মাস আগে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল পার্থ চক্রবর্তীকে।
এরপর পুলিশের কাছ থেকে মারধর করার ঘটনাটি জানতে পারেন বাড়ির মালিক। পুলিশ ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। ধৃত নাবালককে বুধবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক চিকিৎসাধীন যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।