ISF: নওশাদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে মিছিল, পাড়ায় পাড়ায় প্রতিবাদ সভা আইএসএফের
ISF MLA Naushad Siddiqui: ২৫ জানুয়ারি বুধবার কোনও ঝান্ডা ছাড়াই নাগরিক সমাজ মিছিল করবে নওশাদ সিদ্দিকির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে। এদিন বেলা ১টায় শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে আরও এক আইএসএফ (ISF) কর্মীকে পাকড়াও করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ভাঙড়, কাশীপুর ও হাড়োয়া থানা এলাকায় রাতভর অভিযান চালায় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার (KLC PS) পুলিশ। শেখ ফিরোজ জওয়ান নামে ওই যুবককে সোমবার সন্ধ্যায়ই গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার হাতিশালায় ভাঙচুরের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তা দেখার পরই সোমবার ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার থেকে ওই আইএসএফ কর্মীকে আটক করে কাশীপুর থানার পুলিশ। পরে তাঁকে কেএলসি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শেখ ফিরোজ ভাঙড়ের পানাপুকুর এলাকার বাসিন্দা। এদিকে কলকাতায় রানি রাসমণি রোডের ঘটনায় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (ISF MLA Naushad Siddiqui) গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার পথে নামছে আইএসএফ। শুধু বুধবারই নয় চলতি সপ্তাহে একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর দলের।
সোমবারই সাংবাদিক সম্মেলন করেন আইএসএফের কার্যকরী সভাপতি শামসুর আলি মল্লিক। তিনি জানান, নওশাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি রাজপথে নাগরিক মিছিল হবে। সেখানে কোনও রাজনীতির পতাকা থাকবে না। তিনি জানান, তাঁদের প্রতিবাদ হবে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে। ইতিমধ্যেই আইএসএফ কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিপি বদল করার জন্য। মঙ্গলবার গ্রামগঞ্জে প্রচার চালানো হবে নওশাদ-মুক্তির দাবিতে। পাড়ায় পাড়ায় প্রতিবাদ মিছিল হবে আজ বিকেলে।
২৫ জানুয়ারি বুধবার কোনও ঝান্ডা ছাড়াই নাগরিক সমাজ মিছিল করবে নওশাদ সিদ্দিকির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে। এদিন বেলা ১টায় শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু হবে। মিছিল শেষে হবে ধর্মতলায়। ২৬ জানুয়ারি পথসভার আয়োজন করা হবে আইএসএফের তরফে। সেখান থেকে সংবিধান বাঁচানোর দাবি তুলবেন আইএসএফ নেতৃত্ব। এরপর ২৯ জানুয়ারি থানায় থানায় স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ধৃত আইএসএফ কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে। মিছিল হবে মুখে কালো কাপড় বেঁধে।
নওশাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছে বামফ্রন্ট। বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু সোমবারই প্রেস বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানে ২১ জানুয়ারির ঘটনার নিন্দা করে বলেন, নওশাদ-সহ গ্রেফতার হওয়া আইএসএফ কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলারও ডাক দেন তিনি।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “তৃণমূল ছাড়া বাকি সবাইকে জেলে যেতে হবে। আরাবুলকে তো গ্রেফতার করেনি। সেটা না হলে আক্রান্তের পাশে তো দাঁড়াতে হবেই। আমি বিশ্বাস করি রাজ্যপালের কাছে প্রতিনিধিরা যাবেন। এটা চলতে পারে না।”
আইএসএফের পাশে সিপিএমের দাঁড়ানো নিয়ে কিছুটা খোঁচার সুরেই বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, আইএসএফ আর সিপিএম সমঝোতা করেছে। ওরা বন্ধু। এটা তো লুকোনোর কিছু নেই। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী দলের কেউ কর্মসূচি নিলে তা আটকে দেওয়া হবে, এটা সমর্থন করা যায় না। তিনি বলেন, বিজেপিও ভুগছে।
যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে কেউ যদি বিনা নোটিসে রাস্তায় বসে যায়, তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশ কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে? একজন বিধায়ক বসেছিলেন, তাঁকে বারবার বলা হয়েছিল উঠে যেতে, তিনি উঠবেন না। তিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি জনগণকে অসুবিধায় ফেলেন, পুলিশ তুলে দিয়েছে।”