Siddiqullah Chowdhury: ‘পুলিশ কাজ না করলে বড়বাবুকে ঘেরাও করে রাখব’, হুঁশিয়ারি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার
এদিন পুলিশকে ঘেরাও করারও হুঁশিয়ারি দেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। হুমকির সুরে তিনি বলেন, "আজ লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম পুলিশকে।"

মেমারি: ফের বিস্ফোরক মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। এবার পুলিশকে একহাত নিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী। আঁশ আর বাঁশ পাতাকে এক করলে হবে না তোপ দেগে রবিবার এক জনসভা থেকে তিনি বলেন, “যে বা যারা মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে গালমন্দ করে অপদস্ত করছে, আইনের চোখে তারা অপরাধ করছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে। পুলিশকে বুঝতে হবে, কারা অফিসিয়াল দল। আঁশ আর বাঁশ পাতাকে এক করলে হবে না। মাছের আঁশ ফেলে দেওয়া হয়। আর বাঁশপাতার একটা দায়িত্ব আছে।” এখানেই শেষ নয়, রাস্তায় প্রতিবাদে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, “পুলিশ কী ভাবছে উনিও দল, এনিও দল? পুলিশ কি নাবালক নাকি! পুলিশকে সাবালক হতে হবে। এসব ভণ্ডামি আমি শুনব না। কোনও পদক্ষেপ না হলে সাধারণ মানুষ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। আমি বুঝে নেব।”
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ঝিকরা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভা ছিল। প্রাক্তন মেমারি-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের বাড়ির কাছেই মন্ত্রীর সভা হয়। সেখানেই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী পুলিশের উপর রীতিমত চাপ সৃষ্টি করে পুলিশকে দক্ষ প্রশাসনের ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দেন। মহম্মদ ইসমাইলের নাম না করে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “বাবু দাপাদাপি করে বেড়াচ্ছে। পুলিশ দক্ষ প্রশাসনের ভূমিকা পালন করুক। আমি পুলিশের সঙ্গে বসি। কিন্তু ফিসফিস করি না। আমি পুলিশকে সম্মান করি, ঘুষ দিই না। যাদের পয়সা আছে তারা দেবে। আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমি প্রয়োজনে চিফ সেক্রেটারি, হোম সেক্রেটারি বা ডিজি-কে বলব।”
এদিন পুলিশকে ঘেরাও করারও হুঁশিয়ারি দেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। হুমকির সুরে তিনি বলেন, “আজ লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম পুলিশকে। পুলিশ কাজ না করলে মেমারি থানার বড়বাবুকে ঘেরাও করে রাখব। থানা থেকে বের হতে দেব না।”
এদিন নাম না করে বক্তব্যের প্রথম থেকে প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল প্রসঙ্গেই যে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন, তা তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট। যদিও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ মহম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, “আমি তো ওঁনার (সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী) বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। উনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তাই এসব বলছেন।”





