Sundarban Weather: নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের জোড়া ফলায় ত্রস্ত সুন্দরবন, কন্ট্রোল রুম থেকে রাখা হচ্ছে প্রতিনিয়ত নজর
West Bengal Weather Update: এ দিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট জেলার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের দু'পাশ দিয়ে একদিকে বয়ে গিয়েছে রায়মঙ্গল ও অন্যদিকে কালিন্দী নদী।
সুন্দরবন: বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে নিম্নচাপ। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এর মধ্যে আবার পূর্বাভাস রয়েছে ভরা কোটালের। যার জেরে আতঙ্ক বেড়েছে সুন্দরবনে।
এ দিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট জেলার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’পাশ দিয়ে একদিকে বয়ে গিয়েছে রায়মঙ্গল ও অন্যদিকে কালিন্দী নদী। আর সেই এলাকাতেই নদী বাঁধের একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যার কারণে ভীত নদীপাড়ের মানুষজন।
কারণ এই ফাটল যদি আরও চওড়া হয় তাহলে যে কোনও সময় বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে কয়েক হাজার প্রান্তিক মানুষ ও তাঁদের বসতি। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে প্লাস্টিক মাটির বস্তা, বাঁশ দিয়ে সেই ফাটল মেরামতির চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তা কতদিন? কারণ জলস্তর বেড়ে গেলে বড়সড় বিপর্যয় হতে পারে।
এই বিষয়ে বসিরহাট মহকুমার সেচ দফতরের আধিকারিক রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছি তাঁরা যাতে বাঁধের ফাটলের মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু করে। এছাড়াও বসিরহাটের সুন্দরবন সংলগ্ন সন্দেশখালি ১ ও ২, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া ও মিনাখাঁ এই ছ’টি ব্লকে অবজার্ভেশন পয়েন্ট করা হয়েছে। বাঁধ মেরামতি করার জন্য সামগ্রিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আমরাও নদী বাঁধের উপর নজর রেখেছি।’
শুধু বসিরহাট নয়, সুন্দরবনের অন্যতম মহকুমা ক্যানিংয়ের এসডিও অফিসেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কারণ প্রতিবছর প্রাকৃতিক ঝড়-ঝঞ্ঝায় বিধ্বস্ত হয় বাদাবনের এই জায়াগা। ক্ষতিগ্রস্ত হন এখানকার বাসিন্দারা। তাই এই এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস পেতেই ঘুম ছুটেছে এখানকার বাসিন্দাদের। তবে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া সেখানকার বাসিন্দারা। কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নদী বাঁধের জন্য সতর্ক রাখা হয়েছে সেচ দফতরের কর্মীদের। সেই সঙ্গে ব্লক এলাকায় সজাগ রয়েছেন সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা।