Cyber Crime: আঙুলের ছাপ নকল করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, বড় নির্দেশ আদালতের
AEPS: চোপড়ায় এরকমই এক প্রতারণা মামলায় সাজা পেলেন দু'জন। স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভারতবর্ষে এই মামলা নজিরবিহীন। লোকেশন ট্রেস করেই ধরা হয় দু'জনকে। এইপিএস হল আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার ব্যবস্থা।
উত্তর দিনাজপুর: আধার এনাবেল পেমেন্ট সিস্টেম বা এইপিএস (AEPS) কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠছিল গত বছর। মে জুন মাস থেকে লক্ষ্যণীয় হারে এই প্রতারণা বাড়তে থাকে। সাইবার ক্রাইমের এই নতুন ধারার প্রতারণা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। সেই চক্রেরই দুই পান্ডাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর আদালত। ৫ মাসের ট্রায়ালে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এরপরই সাজা ঘোষণা করে আদালত।
চোপড়ায় এরকমই এক প্রতারণা মামলায় সাজা পেলেন দু’জন। স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভারতবর্ষে এই মামলা নজিরবিহীন। লোকেশন ট্রেস করেই ধরা হয় দু’জনকে। এইপিএস হল আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার ব্যবস্থা। বায়োমেট্রিক ও আধার কার্ডের তথ্য ব্যবহার করে গত বছর বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা শুরু হয়। পুজোর আগে তা চরমে ওঠে। সর্বস্ব খুইয়ে কপালে হাত পড়ে যায় অনেকেরই। আধার নম্বর লক করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দেশজুড়ে আধার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে জালিয়াতি রুখতে কড়া নির্দেশও দেয় ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া।
গতবার এই সময় এইপিএস কার্যত সংক্রমণের চেহারা নেয় উত্তর দিনাজপুর জেলায়। শিক্ষক, অধ্যাপক থেকে সমাজকর্মী অনেকেরই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যায়। চোপড়ায় সাইবার প্রতারকদের হদিশ পায় পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানের মেশিন, জমির দলিল-সহ বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করে ইসলামপুর সাইবার ক্রাইম থানা। তদন্ত শুরু হয়। সেই তদন্তেই দোষীদের শাস্তি ঘোষণা করা হল।